প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো নিশ্চয়ই ভিডিও এডিটিং করতে চাচ্ছেন? আপনি যদি নতুন হিসেবে ভিডিও এডিটিং করতে চান মোবাইল দিয়ে তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ আজকে আমরা কয়েকটি মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস নিয়ে আলোচনা করব, যা ব্যবহার করে আপনি সহজেই একটি সাধারণ ভিডিওকে প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এই গুলো ব্যবহার করা খুবই সহজ। আর এই অ্যাপস গুলো প্লেস্টোরে ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবেন।
আপনি যদি সাধারণভাবে ছোটখাটো ভিডিও বানিয়ে থাকেন ইউটিউব শর্টস বা ফেসবুক এর জন্য, তাহলে এই অ্যাপসগুলো খুবই সাহায্য করবে আপনাকে ভিডিও এডিটিং এর জন্য। নতুনদের জন্য অ্যাপসগুলো ব্যবহার করা খুবই সহজ। চলুন তাহলে শুরু করা যাক। অ্যাপস গুলোর নাম ও এর ফিচার সম্পর্কে। আর পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।
ফ্রি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ভিডিও এডিটিং অ্যাপস এর নাম গুলো দেওয়া হলোঃ=
Adobe Premiere Clip
Powerdirector
Lightroom
Magisto – editor & slideshow make
Kinemaster pro
প্রথমে রয়েছে Adobe Premiere Clip
এডোবি প্রিমিয়ার ক্লিপ ব্যবহার করে মোবাইলেই ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এবং সব ধরনের মোবাইলেই প্রফেশনাল কোয়ালিটিতে ভিডিও এডিটিং করা যায়। এডোবি প্রিমিয়ার লিভ এ অনেক ধরনের এডিটিং টুলস আছে যা আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। সেগুলো হলোঃ Video cutting, trimming, transitions, adding music, filters, effects, photo motion. আরো অনেক ধরনের ফিচার পাবেন এই অ্যাপস এর মধ্যে। এটি আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রিতেই মোবাইল প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন।
তারপরে আছে পাওয়ার ডিরেক্টর Powerdirector
অন্যান্য অ্যাপস গুলোর মতোই এই অ্যাপসেও আপনার বাড়ানো সাধারণ ভিডিও কে প্রফেশনাল মুডে রূপ দিতে পারবে। তবে অন্যান্য এডিটিং অ্যাপস গুলোর চেয়ে এই অ্যাপসে একটু বেশি অপশন পাবেন। যা ভিডিও এডিটিং করতে আরও সাহায্য করবে। এতে আপনারা যে ফিচারগুলো পাবেন সেগুলো হলোঃ ভিডিও এডিটিং, ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ, ভিডিও কাটা জোড়া লাগানো, ফটো দিয়ে ভিডিও বানানো, ভিডিও প্রফেশনাল মুড ইত্যাদি আরও অসংখ্য ফিচারস পাবেন এই অ্যাপসে।
এরপরে আছে লাইটরুম Lightroom
এটি একটি মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হলেও এটা দিয়ে ছবিও এডিট করা যায় এবং ক্যামেরাও আছে যা দিয়ে ছবি তোলা যায়। অন্যান্য অ্যাপস গুলোর মতোই এই অ্যাপসেও ভিডিও এডিটিং এর জন্য অনেকগুলো ভিডিও এডিটিং ফিচারস আছে। এটিও সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্লেস্টোরে পেয়ে যাবেন।
এরপরে আছে Magisto – editor & slideshow make
এটি ব্যবহার করে আপনি ইউটিউব বা ফেসবুকের জন্য প্রফেশনাল মোডে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এটিতে আপনারা এ আই ফাংশন ও পেয়ে যাবেন। যা খুব সহজেই এবং একা একাই আকর্ষণীয় ভিডিও বানিয়ে দিতে পারে এই অ্যাপসটি। এটিও প্লে স্টোরে ফ্রিতেই পেয়ে যাবেন। এই অ্যাপসটি প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করেছে। যা সত্যিই অসাধারণ।
তারপরে আছে Kinemaster pro
অ্যান্ড্রয়েড ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হলো কাইনমাস্টার প্রো। এই অ্যাপ্লিকেশনটি দিয়ে আপনি কম্পিউটারের মতো ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন প্রফেশনাল মুডে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে এটি অনেক শক্তিশালী ও অ্যাডভান্স প্রফেশনাল মোডে ভিডিও এডিটিং করতে সক্ষম। এটাতে আপনি অনেক ধরনের এডভান্স ফিচার পাবেন।
যেগুলো ব্যবহার করে আপনার সাধারণ ভিডিও কে প্রফেশনাল রূপ দিতে পারবে। এই অ্যাপ্লিকেশনটির মধ্যে ভিডিও এডিটিং করার জন্য সব ধরনের ফিচারসই পাবেন। তবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারে একটি সমস্যা হলো ফ্রিতে ভিডিও এডিটিং করলে ভিডিওতে ওয়াটার মার্ক যুক্ত হয়ে যায়।
তবে ওয়াটার মার্ক ছাড়া ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে প্লে স্টোর থেকে অ্যাপসটি কিনে ব্যবহার করতে হবে। গুগলে অনেক ওয়েবসাইটে আপনি এর প্রো ভার্সন কিনতে পারবেন।
লেখক কথা
আজ আমরা নতুনদের জন্য কয়েকটি ভিডিও এডিটিং মোবাইল অ্যাপস নিয়ে আলোচনা করেছি। নতুন অবস্থায় এই অ্যাপস গুলো দিয়ে ভিডিও এডিট করা অনেক হেল্পফুল ও সহজ। আপনি চাইলেও এই অ্যাপস গুলো দিয়ে খুব সহজে সাধারণ ভিডিও কে প্রফেশনাল মোড করতে পারবেন।
এবং অ্যাপসগুলো চালানো খুবই সহজ। উপরের বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়লে আপনি সব বুঝতে পারবেন। আর আমাদের এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার কাছের মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
0 coment rios: