সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করার সময় কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এই কাগজগুলো আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হয় এবং লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর যাচাইয়ের জন্যও ব্যবহার হয়। নিচে সরকারি চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলোর তালিকা দেওয়া হলো:
১. আবেদনপত্র (Application Form)
- অনলাইন বা অফলাইন মাধ্যমে পূরণ করা সরকারি চাকরির নির্দিষ্ট আবেদন ফর্ম।
২. প্রবেশপত্র (Admit Card)
- নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ইস্যু করা প্রবেশপত্র। আবেদন জমা দেওয়ার পর এটি ডাউনলোড করতে হয় এবং পরীক্ষার দিনে সাথে রাখতে হয়।
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্মনিবন্ধন সনদ
- আবেদনকারীর পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি বা জন্মনিবন্ধন সনদ জমা দিতে হয়।
আরো পড়ুনঃ শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন
৪. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র
- এসএসসি/এইচএসসি/স্নাতক/স্নাতকোত্তর সনদপত্র: শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণের জন্য প্রত্যেক স্তরের শিক্ষাগত সনদপত্রের ফটোকপি।
- মার্কশিট/ট্রান্সক্রিপ্ট: প্রতিটি পরীক্ষার ফলাফল প্রমাণের জন্য মার্কশিটের ফটোকপি দিতে হয়।
৫. চরিত্র সনদপত্র (Character Certificate)
- স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন থেকে বা আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে প্রাপ্ত চরিত্র সনদপত্র।
৬. সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- সাধারণত ২-৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (সম্প্রতি তোলা এবং নির্দিষ্ট ব্যাকগ্রাউন্ডের)। আবেদন ফর্ম এবং প্রবেশপত্রের সাথে লাগানোর জন্য এই ছবি প্রয়োজন হয়।
৭. কোটা সংক্রান্ত সনদপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)
- যদি আপনি কোনো কোটার অধীনে আবেদন করেন (যেমন: মুক্তিযোদ্ধা, নারী, উপজাতি, প্রতিবন্ধী), তবে সেই কোটার সনদপত্র জমা দিতে হবে।
৮. প্রশংসাপত্র (Recommendation Letter) (যদি প্রযোজ্য)
- কোনো চাকরির ক্ষেত্রে আপনাকে সুপারিশ করার জন্য প্রশংসাপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
৯. অভিজ্ঞতা সনদপত্র (যদি প্রয়োজন হয়)
- কিছু সরকারি চাকরির জন্য অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী চাকরির অভিজ্ঞতার সনদপত্র জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায় কি জানুন
১০. স্বাস্থ্য সনদ (Medical Certificate)
- চাকরির যোগ্যতার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার সনদপত্র জমা দিতে হতে পারে। সাধারণত সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে এই সনদ নিতে হয়।
১১. নাগরিকত্ব সনদপত্র
- স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব সনদপত্র, যা প্রমাণ করে আপনি বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক।
১২. আচার-আচরণ সনদপত্র (Police Clearance)
- কিছু সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর আচার-আচরণ এবং কোনো ফৌজদারি মামলায় জড়িত নয় তা প্রমাণের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদপত্র প্রয়োজন হতে পারে।
১৩. আদালতের নথি (যদি প্রযোজ্য)
- যদি আবেদনকারী কোনো আদালত-সংক্রান্ত মামলায় জড়িত থাকে, তবে সেই বিষয়ে কাগজপত্র জমা দিতে হতে পারে।
১৪. প্রতিবন্ধী সনদ (যদি প্রযোজ্য)
- যদি আপনি প্রতিবন্ধী কোটার অধীনে আবেদন করেন, তাহলে বৈধ সরকারি প্রতিষ্ঠানের থেকে নেওয়া প্রতিবন্ধী সনদপত্র জমা দিতে হবে।
এই কাগজপত্রগুলো সাধারণত আবেদন জমা দেওয়ার সময় এবং পরীক্ষা বা ইন্টারভিউয়ের সময় যাচাই করা হয়। তাই চাকরির আবেদন করার আগে সমস্ত কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
0 coment rios: