বর্তমান যুগে আমরা সবাই নিজ নিজ লাইফ স্টাইল নিয়ে ব্যস্ত। এই সময় সবাই চাই সুন্দর একটা স্মার্ট লাইফ স্টাইল ব্যবহার করতে। এই সময় শুধু মেয়েরাই নয়, ছেলেরাও এই বিষয়ে বেশ সচেতন হয়ে উঠেছে। তবে ছেলেদের বিষয়ে একটু ভিন্ন।ছেলেরা মনে করে শুধু ব্র্যান্ডের পোশাক পরলেই স্মার্ট লাইফ স্টাইল ফিট হওয়া যায়।
তবে না, ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠার জন্য আমাদের বেশি খরচ করার দরকার নেই। একটু বুদ্ধি করে চললেই কম খরচেও ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠা যায়। এরপরও কিছু কিছু ছেলে আছে যারা বেশিরভাগ সময়ই অগোছালো থাকে। যদিও কোন পার্টি বা অনুষ্ঠানে গেলে ফ্যাশনেবল হতে হয়, তারপরেও অনেকেই ফরমাল পোশাকে চলে যান।
এর কারণে অনেকেই মনে করে এটাই তাদের কাছে বেস্ট লুক। কিন্তু মনে রাখবেন অগোছালো পোশাকের চেয়ে ফ্যাশনেবল পোশাকটা বেশি প্রয়োজনীয়।
নিজের লাইফ স্টাইল
একসময় আমরা দেখতাম শুধু মেয়েরাই স্মার্ট লাইফ নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে মেয়েদের সাথে সাথে ও ছেলেদের স্মার্ট লাইফ এর প্রবণতা বেড়েই চলেছে। ছেলেরাও নানাভাবে স্মার্ট লাইফ ফ্যাশনেবল হয়ে উঠছে। তবে এর জন্য বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না, দরকার হয় শুধু পড়িপাটি হওয়ার। অনেকেই আছেন তারা নামিদামি ব্র্যান্ডের পোশাক পড়েন কিন্তু অগোছালো থাকেন। এজন্য দামি পোশাক পরলেও তাদের দেখতে স্মার্ট লাগেনা।
ছেলেদের লাইফ স্টাইল খুব সীমিত। তাদের স্মার্টনেস হওয়ার জন্য বেশী কিছু দরকার নেই। অল্প কিছু কথা মেনে চললেই ছেলেরা নতুন স্মার্ট লাইফ ফ্যাশনেবল করে তুলতে পারবে। আমরা অনেক বিবেচনা করি এ কথাগুলো বলেছি। নিচের টিপস গুলো মেনে চললে যে কোন রং-এর ছেলেরা অল্পতেই স্মার্ট হয়ে উঠতে পাড়বে।
পোশাক
পোশাক দামি কিংবা কম দামি হোক না কেন পরিপাটি হওয়াটা বেশি প্রয়োজন। ব্র্যান্ডের পোশাক পড়েও পরিপাটি না থাকলে আপনি স্মার্ট হয়ে উঠতে পারবেন না। বাজারে অনেক ধরনের ভালো ভালো পোশাক পাওয়া যায় যা অল্প দামেই পেয়ে যাবে। এগুলো যত্ন করে বা পরিপাটি করলে করে রাখলেই দেখতে ভালো লাগবে। এবং আপনি খুব সুন্দর একটা আউটলুক বা স্মার্ট লুক পেয়ে যাবেন।
চুল
এরপরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো চুল। আমাদের পোশাকের পাশাপাশি চুলের উপর বেশি ফোকাস দিতে হবে ফ্যাশনেবল হওয়ার জন্য। আপনার সাথে চুলের যে কার্ট টা মানায় সব সময় সে কার্ট দেওয়ার চেষ্টা করবেন। অনেকেই দাড়িতে ক্লিন সেভ দেই।
এতে কিছু কিছু লোককে ভালো লাগলেও অনেককেই দেখতে ভালো লাগে না। তবে আপনার মুখে যদি দাড়ি-গোফ মানায় তাহলে অবশ্যই হালকা ভাবে রাখার চেষ্টা করবেন। এতে করে স্মার্টনেস হয়ে ওঠা অনেকাংশেই বেড়ে যায়।
ছেলেরা দিনের অনেক অংশই বাইরে থাকে। এর ফলে গরমের কারণে গায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে। তাই বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মনে রাখবেন বডি স্প্রে বা বডি রোল ব্যবহার করা। এছাড়াও সানগ্লাস, রুমাল, ঘড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করা। এগুলোতে বেশি স্মার্টনেস লাগে একটি পুরুষকে।
জুতা
এরপরেই স্মার্টনেসের মেন পয়েন্ট হল জুতা। পূর্ণ আউটলুক ফিট পেতে জুতা অনেক প্রয়োজন। তাই যেকোনো অনুষ্ঠানে ফরমাল লুক হিসেবে জুতাই বেস্ট। তবে খেয়াল রাখবেন এই জুতা সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। অপরিষ্কার জুতা করবেন না এবং জুতা ময়লা হয়ে আসলেই পালিশ করে নিবেন। এটা দেখতে অনেকটা গর্জিয়াস লাগবে।
স্বাস্থ্য টিপস
যে কোন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মূল বিষয় হলো সুষম খাদ্য। অধিক্য পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার (ভাত, রুটি) থেকে বিরত থাকতে হবে। শাকসবজি ফলমূল গ্রহণ করতে হবে। আঁশ যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। এতে করে অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগবে না এবং পেটের নানা ধরনের সমস্যা দূর হবে।
ফাস্টফুড পরিহার করতে হবে। কোমল পানীয় থেকে বিরত থাকতে হবে। এর পরিবর্তে তাজা লেবুর রস খেতে পারেন জুস হিসেবে।
পুরুষের ফ্যাশন ও লাইফ স্টাইল
আমরা সবাই চাই আমাদের নিজেদের আউটপুট অনের কাছে তুলে ধরতে। তার জন্য আমাদের কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এ অভ্যাসগুলো গড়ে তোলার পর নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনি অন্যের কাছে কতটুকু অ্যাটাকটিভ হয়ে উঠেছেন। চলুন তাহলে জানা যাক সেই বদভ্যাস গুলো কি কি
নিয়মিত সুষম খাদ্য খান, ধূমপান বা মাদক পরিহার করুন।
৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমার চেষ্টা করুন।
বিস্তারিত ৩০ মিনিট নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
পরিবারকে সময় দিন, তাদের সাথে কোথাও ঘুরতে যান।
যা আয় করছেন তা থেকে কিছু জনসেবায় খরচ করুন, এতে মনের তৃপ্তি পাবে।
নিজেকে ভালোবাসোন এবং নিজেকে কখনো অন্যের সাথে তুলনা করবেন না
জীবন থেকে অপ্রয়োজনে জিনিসগুলো বাদ দিন।
ছুটির দিনগুলোতে পছন্দের কাজগুলো করুন কিংবা ঘুরতে যান।
বন্ধুদের সাথে কিছু সময় দিন কিংবা তাদের সাথে ঘুরতে যান। এতে মন প্রফুল্ল হবে।
0 coment rios: