আমরা যারা নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতারা অবশ্যই ব্লগ মানিটাইজেশনের কথা শুনে আসছি ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কি কি অনুমোদন প্রয়োজন সে সকল সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো তাই আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা অনলাইনে অর্থ উপার্জনের উপায় গুলো আলোচনা করার চেষ্টা করব।
অনেকেই জানেন না যে ব্লগ থেকে আয় করার জন্য একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ব্লগ থেকে আয় করতে কি অনুমোদন লাগে সে সম্পর্কে জানিনা। তো চলুন আজ সেই বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। তা হলো ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এবং ব্লগ তৈরির নিয়ম সম্পর্কে তাই ব্লগিং এর মূল চালিকাশক্তি কি এবং ব্লগিং থেকে আয় করার জন্য কি অনুমোদন প্রয়োজন সকল বিস্তারিত আলোচনা।
পোস্ট সূচীপত্র
- ব্লগিং ওয়েবসাইট
- ব্লগ তৈরির নিয়ম
- ব্লগ করে কত টাকা আয় করা যায়
- ব্লগের মূল চালিকাশক্তি কি কি
ব্লগিং ওয়েবসাইট
একটি ব্লগ তৈরী করতে মূলত এক ধরনের অনলাইন ব্যক্তিগত বা যৌথ ম্যাগাজিন যা অনলাইন পাঠকদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা চেষ্টা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ আপনি এখন যে নিবন্ধনটি পড়ছেন সেটিও একটি ব্লগিং ওয়েবসাইটের অংশ। আবার ব্লগ শব্দটি কি ওয়েব ব্লগের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যারা ব্লক নিবন্ধন লেখেন এবং ওয়েবসাইটে পোস্ট করেন তাদের ব্লগার বলা হয়। ব্লগাররা একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের ডেমেইম এবং হোস্টিং ক্রয় করে। এবং তাতে নিয়মিত ব্লগ বা নিবন্ধন প্রকাশ করে সাধারণত যে ওয়েবসাইটগুলো ব্লগিং নিবন্ধন আকারে পোস্ট করা হয় সেগুলো ব্লগিং ওয়েবসাইট হিসাবে ধারণা করা হয়।
আরো পড়ুন: গুগল এডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে
ব্লগাররা ওয়েবসাইটের নিয়মিত নিবন্ধনের মত প্রকাশ করতে পারেন একইভাবে পাঠকরা সেই নিবন্ধন গুলির বিষয়বস্তু সম্পর্কে তাদের মন্তব্যে কমেন্ট বক্সে জমা দিতে পারেন। কিন্তু আজকাল ব্লগ ইনকাম ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে যুক্ত হয়েছে। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং দুই ধরনের প্রথমটি একটিভ, ইনকাম এবং দ্বিতীয়টি, প্যাসিভ ইনকাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ব্লগ তৈরির নিয়ম
আপনি যদি একটি ব্লগ তৈরি করে অর্থ উপার্জন করতে চান। তবে আপনাকে অবশ্যই মানসম্পন্ন সামগ্রিক প্রকাশের সাথে কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করে চলতে হবে। তাই কেউ যদি নিজেকে একজন ব্লগার হিসেবে উপস্থাপন করতে চান তাহলে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় তা জানার আগে তাকে ব্লগ তৈরির নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আপনি যদি একটি ব্লগ তৈরির নিয়ম সম্পর্কে কথা বলতে চান তবে প্রথমে আপনাকে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ধরনের ব্লগ তৈরি করতে হবে।একজন ব্লগারের সার্থকতা তখনই যদি তিনি একটি নিবন্ধন পড়ার সময় পাঠক এবং লেখকের মধ্যে একটি অদৃশ্য সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন।
আমাদের লেখাপড়ার মধ্যে একটি আদর্শ সংযোগ রয়েছে যে কারণে আপনি শুধুমাত্র আমাদের ব্লগ করতে আগ্রহী। যদি একজন ব্লগার তার ব্লগ সাইটে প্রাসঙ্গিক তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে নিবন্ধন প্রকাশ করার চেষ্টা করেন তবে তা অবশ্যই পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কি কি প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
- ব্লগ সাইট তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে লিখতে হবে
- পাঠকদের উচিত যে সব বিষয়ের উপর ব্লগ লিখার চেষ্টা করা যা পড়ে তাদের দৈনন্দিন জীবনে উপকৃত হতে পারে
- ব্লগ বা আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই দেখতে হবে ব্লগ গুলো কি সঠিক হচ্ছে কিনা
- হয়রানি বা যৌন বিষয়বস্তু ব্লগ নিবন্ধন প্রকাশ করা যাবে না
- অন্য ধর্মের লোকদের ছোট বা উস্কানি মূলক পোস্ট থেকে বিরত থাকতে হবে
- এমন একটি ব্লগ তৈরী করতে হবে যাতে পাঠক টাইটেল অনুযায়ী ব্লগের তথ্য ও উপাত্ত মিলে তা পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে থাকে।
আরো পড়ুন: ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়
ব্লগ করে কত টাকা আয় করা যায়
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া মোটেও সম্ভব নয় কারণ অনলাইনে আয়ের প্রতিটি প্লাটফর্মের নির্দিষ্ট পরিমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ নেই তবে সক্রিয় আয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ কাজের আদেশ থাকলে অর্থ প্রধান পাওয়া যায় অর্থাৎ এই ধরনের কাজ করে মাসে কতজন ক্রেতা আসছেন এবং কি পরিমান কাজের অর্ডার দিচ্ছেন সে অনুযায়ী টাকা আয় করা সম্ভব আবার ব্লগিং ফেসবুকিং (youtube) ইত্যাদির মত প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যমে যদি অর্থ উপার্জন করা হয় তাহলে মাসিক আয় নির্ভর করে শুধুমাত্র ভিজিটরদের ওপর থেকে।
গুগল এডসেন্স এই প্লাটফর্ম গুলোর প্রতিমাসে কত দর্শক গ্রহণ করে তার উপর নির্ভর করে অর্থ প্রদান করে এবং অ্যাফিলিয়েট রিপনের পেরিপেক্ষিতে পণ্যটি পর্যবেক্ষণকারীর গ্রাহকের সংখ্যার ওপর নির্ভর করে থাকে তবে ব্লগ তৈরির নিয়ম অনুযায়ী ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়। আসলে ফেসবুক ইউটিউব এবং ব্লক ওয়েবসাইট গুলো ভিউয়ের ওপর নির্ভর করে অর্থ প্রদান করে থাকে। youtube এবং ফেসবুকের মতো ভিডিও দেখার সময় কিছু বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয় এবং সেই বিজ্ঞাপনের ক্লিকের ভিত্তিতে অর্থ প্রদান করা হয় একইভাবে আপনি যখন একটি ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন তখন কিছু বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় সেখান থেকেই কিছু অর্থ উপার্জন করা হয়।
ব্লগের মূল চালিকাশক্তি কি কি
আজ পর্যন্ত আমরা ব্লক তৈরির নিয়ম এবং ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য কি কি অনুমোদন প্রয়োজন সে সকল তথ্য সম্পর্কে জেনেছি এবং ব্লক তৈরি করার নিয়মের মধ্যে আমরা যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছি সেগুলো অনুসরণ করে গুগল এডসেন্স পাওয়া যায় এবং সেই অনুযায়ী কাজ করলে ব্লগ থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভাব হবে।তারপরও আপনাদের সুবিধার্থে আমি ব্লগের মূল চালিকাশক্তি কি কি অর্থাৎ গুগল ব্লগের র্যাঙ্ক কি হবে এবং পাঠকরা ব্লগ পড়তে আগ্রহী হবে এমন বিষয়বস্তু কি তা জানতে চেষ্টা করব।
আরো পড়ুন: অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া \ ৯টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া
যদিও লেখকের একটি মানসম্পন্ন বিষয়বস্তু এবং মানসম্পন্ন লেখার কৌশল একজন পাঠককে তার ব্লগগুলো পড়তে আগ্রহী করে তোলে অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়বস্তু রয়েছে এবং সেগুলোই ব্লগের মূল চালিকাশক্তি হিসাবে পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। নিচে বিন্দু আকারে ব্লগের মূল চালিকাশক্তি রয়েছে তা দেওয়া হল।
- লেখার সময় লেখককে অবশ্যই তথ্যপূর্ণ নিবন্ধন লেখার চেষ্টা করতে হবে।
- লেখকের পাঠকদের আগ্রহী কি এবং তাদের ব্লক করার উদ্দেশ্য কি তা সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা উচিত
- শিরোনাম বাস শিরোনাম এমনভাবে লিখতে হবে যাতে দর্শকরা ব্লগের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে আকৃষ্ট বোধ করে।
- প্রতিটি শিরোনামের বিস্তারিত লেখার সময় অনুচ্ছেদ আকারে লেখার চেষ্টা করতে হবে।
- একজন নিবন্ধন প্রকাশকের সব সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বস্তু খুঁজে বের করার জন্য লেখার চেষ্টা করা উচিত।
- প্রত্যেক ব্লগারের নিয়মিত নিবন্ধন প্রকাশ করা উচিত।
উপসংহার
আমরা আজকের এই নিবন্ধনের একেবারে শেষে চলে এসেছি আপনি যদি ইতিমধ্যেই ব্লক তৈরির নিয়ম সম্পর্কে সম্পন্ন অবগত আছেন ব্লক করে কত টাকা আয় করা যায় এবং ব্লক থেকে আয় করতে কি কি অনুমোদন লাগে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আয়ের ভিত্তিতে ব্লক থেকে কত টাকা আয় করা যায় তার হিসাব করার চেষ্টা করেছি তো বন্ধুরা আমাদের আজকের এই বিষয়গুলো আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করে দেবেন এবং কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করে আসবেন ধন্যবাদ।
0 coment rios: