সরকারি চাকরিজীবীদের লোন সুবিধা ও ব্যক্তিগত লোনের কারণ

সরকারি চাকরিজীবীদের লোন সুবিধা ও ব্যক্তিগত লোনের কারণ

নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে লোন ব্যবস্থা আমাদের দেশে একটি মারাত্মক আলোচক বিষয় সাধারণত সরকারি বেসরকারি লোনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নীতিমালা থাকলেও সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য লোন নেওয়া একটু সহজ হয়ে দাঁড়ায় তবে বেসরকারি চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে একটু কষ্ট সাধ্য হয়ে দাঁড়ায় তবে আজকের বিষয়টি মূলত সরকারি চাকুরীজীবীদের জন্য তারা কিভাবে এই লোনটি নিয়ে তাদের কাজে লাগাতে পারবেন এবং কিভাবে লোন গ্রহণ করবেন সেই সুবিধা নিয়ে আজকের বিষয়টি আলোচনা করা হবে তাহলে চলুন শুরু করা যাক -

সরকারি চাকরিজীবীদের লোন সুবিধা ও ব্যক্তিগত লোনের কারণ

আলোচনা বিষয়

  • সরকারি চাকুরীজীবীদের লোন সুবিধা 
  • সরকারি চাকুরিজীবীদের গৃহঋণ গ্যাজেট কি 
  • ইসলামী ব্যাংক কর্তিক সরকারি চাকুরিজীবীদের লোন 
  • সরকারি লোন এর কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নীতিমালা 

সরকারি চাকরিজীবীদের লোন সুবিধা


বিভিন্ন সংস্থা বা এনজিও লোনের তুলনায় খুব কম ইন্টারেষ্টে সরকারি লোন প্রদান করা হয় আর এটি হচ্ছে সরকারি লোন নেওয়ার প্রধান সুবিধা এবং মাধ্যম সরকারি নীতিমালা অনুসারে জমি জমা ও বাড়ি কিনার ক্ষেত্রে ৯০% বা ৯০ ভাগ ঋণ  দেওয়া হবে সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে। শুধুমাত্র ৯০% সুদ বা মুনাফা অনুপাতে ঋণ সুবিধা পাবেন তারা এবং এর মেয়াদ দেওয়া হবে ২০ বছর থেকে তারও অধিক সময় তবে আরেকটি মজার বিষয় হল পাঁচ শতাংশ বা পাঁচ ভাগ সুদ ঋণগ্রহীতা নিজে পরিশোধ করবে এবং ৪ শতাংশ সুদের পরিমাণ সরকার থেকে ভর্তুকি অনুসারে লোন দিয়ে থাকেন।


আরো একটি নতুন বিষয় হলো যদি ঋণগ্রহীতা মারা যান বা অক্ষমতা হয়ে অবসরে গেলে সেই প্রতিষ্ঠান মূল ঋণ এবং সুদের অর্থ পরিপূর্ণ মাফ করে দিবে এর জন্য সরকার কর্তৃক ৮ স্বদেশের একটি প্রতিনিধি দল অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত সচিবের নিকট দায়িত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে সরকারি চাকরিজীবীর লোন সুবিধা পেতে পারেন তার মোটামুটি ধারণা এবং সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা।  


সরকারি চাকুরীজীবীদের গৃহঋণ গ্যাজেট কি


ঋণ ব্যবস্থার প্রাথমিক ধাপ হল গৃহঋণ গ্যাজেট ফ্ল্যাট কিংবা বাসা বাড়ি তৈরিতে দেওয়া হয়ে থাকে এই লোন এই নীতিমালা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং মঞ্জুরি কমিশনের শিক্ষক /কর্মচারীর জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে তবে এই নীতিমালা অনুসারে পহেলা জানুয়ারি ২০২০ সাল থেকে এই ঋণ চালু করা হয়েছে। এই নীতিমালা অনুসারে কিছু সত্য বা নিয়ম কানুন আছে। যেমন:ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে আবেদনকার কে শিক্ষক /বা কর্মচারী হতে হবে এই দিনের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে অবসরের ছুটিতে যাওয়ার এক বছর পর্যন্ত সরকার প্রদান ভিত্তিক ছুটি ভোগের সর্বশেষ দিন পর্যন্ত এই দিন প্রদান করা হবে।


কোন শিক্ষক /বা কর্মচারীর নামে যদি কোন মামলা বা অভিযোগ থাকে তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তদন্ত সাপেক্ষে তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এবং মামলার চার্জশিট চূড়ান্ত হওয়া পর্যন্ত কোন শিক্ষক /কর্মচারী এই দিন গ্রহণ করতে পারবে না এই ঋণ গ্রহণ করার কিছু শর্ত আছে। চলুন জেনে আসা যাক যেমন :


১।এই নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনকারী দেশের যেকোনো জায়গায় বাসা বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে এই ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। 

২।বাসা বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে বাড়ির নকশা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে। 

৩।প্রস্তাবিত জমি ও ফ্ল্যাট যে কোন মানুষের দায় হতে মুক্ত থাকতে হবে। 


ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক সরকারি চাকুরীজীবীদের লোন


সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে। তবে লোনের পরিমাণ নির্ভর করে আপনার সেলারি বা বেতন কত তার ওপর। অন্য ব্যাংকের তুলনায় ইসলামী ব্যাংক লোন এর সুবিধাটা বা প্রসেসটা একটু জটিল বিধায় কেউ কেউ সামান্য সমস্যায় ভোগেন। লোনের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ বিনিয়োগ শব্দটি ব্যবহার করে ইসলামী ব্যাংকে লোন নিতে আপনার চাকুরীর মেয়াদ প্রায় কয়েক বছর হতে হবে লোন নেওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে এপ্লাই করতে হবে বিগত কয়েক  মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে ইসলামী ব্যাংকের লোনের ক্ষেত্রে আপনাকে নিম্নত্বক বিষয়গুলো জেনে রাখতে হবে যেমন :


১।লোন নিতে আপনাকে সর্বপ্রথম ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখায় যেতে হবে। 

২।আপনি যে বিষয়ে লোন নিবেন তার সকল বা বিস্তারিত আলোচনা সেই ব্যাংকের ম্যানেজার/কর্মচারীর সাথে আলোচনা করতে হবে। 

৩।লোন নিতে আপনার চাকরির সকল ডিটেলস বা নথি পত্র প্রমাণসহ তাদের নিকট হস্তান্তর করতে হবে। 

৪।আপনার ভোটার আইডি কার্ড /এন আই ডি ছবি এবং ব্যক্তিগত সকল কাগজপত্র সাথে নিয়ে যেতে হবে। 

৫।আপনার ৫০০০০ হাজার টাকার উপরে হলে আপনি ১০ লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবেন। 


সরকারি লোন এর কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নীতিমালা


সরকারি কর্মচারী বিভিন্ন মেয়াদ ও ভিন্ন ভিন্ন খাতের লোন গ্রহণ করতে পারেন আপনাদের জানা দরকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রাপ্তির কিছু শত টাকার পরিমান ও কিস্তির পরিমাণ -


গৃহ নির্মাণ : তিন বছরের বেতন অথবা এক লক্ষ (৩০০০০০) হাজার টাকা কিস্তিতে। 

মোটরগাড়ি : এক বছরের বেতন অথবা( ৬০০০০) টাকা কিস্তিতে নিতে পারেন। 

কম্পিউটার : ২০ কিংবা( ৩০০০০০)ত্রিশ হাজার টাকা কিস্তিতে নিতে পারেন আপনি।


উপসংহার


আশা করি আপনারা আমাদের আজকের এই  আটিকেল থেকে সরকারি চাকুরীজীবীরা কিভাবে লোন নেবেন এবং কিভাবে লোন ব্যাংক থেকে উত্তোলন করবেন এবং ঋণের ইন্টারেস্ট ব্যাসিক ধারণা আপনারা জানতে পেরেছেন তবে আজকের এই তথ্য গুলো শুধু সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে আশা করি এখান থেকে অনেকেই অনেকভাবে উপকৃত হবেন। আর এটাই আমাদের যাওয়া। এবং ভালোবাসা ধন্যবাদ সবাইকে। 



বিগত ৫ বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটায় ভর্তি করা হয় ১৮০৭ জন শিক্ষার্থী

বিগত ৫ বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটায় ভর্তি করা হয় ১৮০৭ জন শিক্ষার্থী

পোষ্য কোটাকে আঁকড়ে ধরে বারবার নিয়ম ভেঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে নতুন নিয়ম। পিছিয়ে পড়া অকৃতকার্য সন্তানদের পোষ্য কোটার ভিত্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হচ্ছে আসন। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত পাঁচ বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটায় ভর্তি করা হয় ১৮০৭ জন শিক্ষার্থী। 

বিগত ৫ বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটায় ভর্তি করা হয় ১৮০৭ জন শিক্ষার্থী

বিভিন্ন পত্রিকায় বারবার বিভিন্ন শিরোনামে উঠে এসেছে এমন তথ্য। 
কখনো বা ডেইলি স্টারে, কার স্বার্থে চলছে রাবি প্রশাসন? 
কখনো ডেইলি ক্যাম্পাস অথবা ইত্তেফাকে, ফেল করেও রাবিতে ভর্তি হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। 

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েও ৪৩ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। (তথ্যসূত্র - দৈনিক ইত্তেফাক) এছাড়া বিভিন্ন কোটায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সুযোগ পায় ৪১৬ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে পোষ্য কোটায় ৯৬ জন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১৮৫ জন প্রতিবন্ধী কোটায় ৯৪ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ৪১ জন। 

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন কোটা ভর্তির সুযোগ পায় ৫১২ জন। পোষ্য কোটায় ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ২৬২ জন প্রতিবন্ধী কোটায় ৯৫ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ৫৫ জন । 

২০২১ - ২২ শিক্ষাবর্ষে ৪৬৪১ টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দেয় দেড় লাখের বেশি শিক্ষার্থী। যার ন্যূনতম পাশ নাম্বার ছিল ৪০ , কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষকদের সন্তানগুলোকে প্রশ্ন করার ভিত্তিতে আসন দেওয়ার জন্য পাশ নাম্বার ৪০ থেকে ৩০ করা হয় এবং ফেল করেও সেই শিক্ষাবর্ষে রাবিতে ভর্তির সুযোগ পায় ৭১ জন শিক্ষার্থী। এবং সেই বছরে মাত্র ১৯. ৩৫ নাম্বার পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয় আসন পায় এক শিক্ষার্থী। এবং বিভিন্ন কোটায় মোট ৪৭৪ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়।
( তথ্যসূত্র - দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস )

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন কোঠায় ভর্তির সুযোগ পান ৩৯৩ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে পোষ্য কোটায় ৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় ২২৩ জন প্রতিবন্ধী কোটায় ৭১ জন এবং ক্ষুদ্র নিগোষ্ঠী কোটায় ৬০ জন।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন কোথায় ভর্তি হয় ৪২৮ জন, যার মধ্যে পোষ্য কোটায় ৭৯ জন মুক্তিযুদ্ধা কোটায় ১৯৪ জন প্রতিবন্ধী কোটায় ৯৮ জন এবং ক্ষুদ্র নিগোষ্ঠী কোটায় ৫৭ জন শিক্ষার্থী।
(তথ্যসূত্র - কালের কন্ঠ )

চলতি বছর জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলন শুরু হয় কোটা বাতিল নিয়ে। এ আন্দোলনের একপর্যায়ে শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। সর্বসাধারণ এ আন্দোলনে যোগ দেয় বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র দেখার প্রত্যাশায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখনো সংস্কারের দ্বারা শুরু হয়নি। 

তার মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে এখনো প্রায় চার ধরনের কোটা বহাল রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং শিক্ষক কর্মচারী কর্মকর্তা সন্তানদের পোষ্য কোটা। বিশেষ কোটায় অকৃতকার্য হয়েও নির্ধারিত আসনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগ রয়েছে। যার কারণে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তির সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং পোষ্য কোটা বাতিলের জন্য দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা তাই এটি সংস্কারের পক্ষে সম্প্রতি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সম্বনয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। 
আর এরই ধারাবাহিকতায়  স্থাপন করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডের পাশে পোষ্য কোটার প্রথম কবর । 
পোষ্য কোটা ও স্বজন প্রীতি নিপাত যাক মেধাবীরা মুক্তি পাক।

নাহিদ হাসান 
 অদম্য কণ্ঠ, রাজশাহী ।
মান্দায় ইসলামিক জলসায় বিএনপি নামধারী দুষ্কৃতীকারীদের হামলা

মান্দায় ইসলামিক জলসায় বিএনপি নামধারী দুষ্কৃতীকারীদের হামলা

নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ০৭ নং প্রসাদপুর ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুর গ্রামের ডিপ-বাজারে যুবসমাজের উদ্যোগে আয়োজিত ঐতিহাসিক তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে দুষ্কৃতিকারীদের হামলা। 

ইসলামিক জলসায় বিএনপি নামধারী দুষ্কৃতীকারীদের হামলা

আয়োজিত উক্ত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ইং রোজ বুধবার, উক্ত মাহফিলে স্থানীয় কিছু নব বিএনপি'র সদস্য তাদের নিজের ইচ্ছা ও স্বার্থ হাসিল করার জন্য সেই ইসলামিক জলসায় তাদের সকল কুকর্ম ও হাঙ্গামা সমর্থনকারী ০৭ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন কে প্রধান অতিথি করার প্রস্তাব রাখেন। যার বিনিময়ে কিছু অর্থ প্রদান করার প্রস্তাব ও করা হয় মাহফিল কমিটিকে। 

তবে সাধারণ এলাকাবাসী ও যুব সমাজ তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে কিছু এলাকাবাসী বলেন যে, এটি মূলত একটি ইসলামিক আয়োজন এখানে কোন দলীয় বিষয়ে বা রাজনৈতিক ক্ষমতার হস্তক্ষেপ করার অধিকার কারো নেই। 

মূলত এই অনুষ্ঠানটি যুব সমাজের উদ্যোগে করা হয়েছে।তার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নামধারী নব বিএনপির সদস্যদের প্রস্তাব

প্রত্যাখ্যান করায় মাহফিল বন্ধ করার জন্য মান্দা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে ও স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেন। তবে এতে মান্দা ইউএনও ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডাক্তার ইকরামুল বারী টিপু সহ মান্দা উপজেলার এসআই, ওসি মাহফিল করার জন্য অনুমতি প্রদান করেন। তবে এখানে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয় তার মধ্যে অন্যতম শর্ত হলো সেই মাহফিলে প্রধান অতিথি করতে হবে ০৭ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন কে এবং মাহফিলের ব্যানার পরিবর্তনের জন্য ১০০০ (এক হাজার ) টাকা প্রদান করেন।

তাদের শর্তসাপেক্ষে যুবসমাজ ইসলামিক জলসা পরিচালিত করার সুযোগ পায়। তবে, মাহফিল চলাকালীন আনুমানিক রাত ৯:৩০ ঘটিকায় ০৭ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের সাঙ্পাগোঙ্গোরা মিলে মাহফিল বন্ধ করার জন্য হামলা করে এবং সাথে সাথে মাহফিল বন্ধ করতে বলে। মাহফিল বন্ধ না করায় মাহফিলে হামলা করে এবং সাধারণ এলাকাবাসীদের মারধর করে যার কারণে মাহফিল তৎক্ষণাৎ বন্ধ হয়ে যায়। 

কিন্তু এলাকাবাসী সেই বিএনপি নামধারী পাতি নেতাদের বাধা প্রদান কালে হাতাহাতি হয় যার কারণে তাদের দলীয় ক্ষমতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে থানাতে মাহফিল কমিটির বিরুদ্ধে মামলা করে। 

উক্ত ইসলামিক জলসায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা হামলার সাথে জড়িত ছিল:

মোতলেফুর রহমান মতো, মানিক ইসলাম, মোঃ মাহফুজুল, আশরাফুল চৌধুরী, সাইদুর চৌধুরী, মোঃ এরশাদ, আব্দুস সামাদ (শিক্ষক - ভীমপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়) , আব্দুর রশিদ ও তার ছেলে আব্দুর রকিব , আলমগীর , বাবুল চৌধুরী (পিতা মৃত মসির উদ্দিন ), বিদ্যুৎ ( কলা ), মান্নান ( ২ ),  সালাম পিতা: আহাদ আলী , বাবু মন্ডল।

প্রতিবেদক 

মোঃ শাকিব হোসাইন - অদম্য কণ্ঠ, মান্দা

ইসকন কি - ইসকনের উদ্দেশ্য কি - ইসকন কেনো নিসিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন

ইসকন কি - ইসকনের উদ্দেশ্য কি - ইসকন কেনো নিসিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন

ইসকন এর কথা আসলে মনে করা হয়, ইসকন হলো সনাতনদের একটি ধর্মীয় সংগঠন। কিন্তু আদেও কি এটি সনাতনদের ধর্মীয় সংগঠন কিনা সে ব্যাপারে আপনার অভিমত কি? নাকি নাকি তারা সনাতনদের নাম বিক্রি করে তাদের নিজস্ব স্বার্থ হাসিল করতে চায়? চলুন আমরা এ সংগঠন ব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি আর ধরে নিচ্ছি আপনি এ সংগঠন ব্যাপারে কিছুই জানেন না তাই পুরো পোস্টে মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো। 

ইসকন কিইসকনের উদ্দেশ্য কি ইসকন কেনো নিসিদ্ধ হওা প্রয়োজন

তাহলে চলেন ইসকন সম্পর্কে একটু জেনে আসি। ইসকনের সৃষ্টি কিন্তু ভারতে নয় কিন্তু আপনারা অনেকেই মনে করে থাকেন ইসকন এর সূত্রপাত হয়েছে ভারত থেকে কিন্তু এটি মূলত  আমেরিকার নিউইয়র্কে ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার নাম ‘অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’। 

অবাক হওয়ার মত বিষয়, এ ব্যক্তি ভারতের কোন প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেননি । লেখাপড়া করেছে খ্রিস্টানদের চার্চে। পেশায় সে ছিলো ফার্মাসিউটিকাল ব্যবসায়ী। যার পড়াশোনা টা  হয় খ্রিস্টান চার্চে, তিনি খ্রিস্টান ধর্মালম্বী বা খ্রিস্টান চার্চে পড়াশোনা করা সত্ত্বেও কিভাবে সনাতন ধর্ম প্রচার করে বা সনাতন ধর্মের সাথে জড়িত এটি ইতোমতো চোখ কপালে ওঠার মতই বিষয়। 

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে

স্বামী প্রভুপাদ যখন  সনাতনের নাম করে ইসকন প্রতিষ্ঠান করে,তখন মূলধারার হিন্দুরা এতে বাদা দেয়। কারন মূলধারার হিন্দুরা বুজতে পারছে, তাদের নাম বিক্রি করে, খ্রিস্টান এজেন্টডার হয়ে ইসকন কি করতে যাচ্ছে। বাধা দেওয়ার পর ঐ ইসকন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তার কারণ হলো ইসকন কে বাস্তবায়ন করার জন্য,কিছু খ্রিস্টান সংগঠনের কাজ করে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত যা সম্পূর্ণভাবে হিন্দুদের ভাবনার সাথে মিলে যায় হিন্দুরা যেমন ভাবে ঠিক তেমনভাবে কাজ করে যাচ্ছে  ইসকন। যেমন... হিন্দুদের মন্দির ভেঙ্গে সেখানে করা হচ্ছে ইসকন মন্দির। 

২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রশিক রায় জিউ মন্দিরে দুর্গাপূজা নিয়ে ইসকনপন্থি ও সনাতন ধর্মালম্বীদের সংঘর্ষ হয়।  এসময় ইসকন ভক্তদের হামলায় ফুলবাবু নামে একজন সনাতন নিহত হয়।  তাহলে কিভাবে  হলো ইসকন সনাতন ধর্মীয় সংগঠন? আসলে ইসকন হলো একটা উগ্র জ/ঙ্গি সংগঠন। যারা খ্রিষ্টান এজেন্টডার হয়ে কাজ করে। এবং তাদের চিন্তা চেতনা সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে মিলে যায়। 

তারপর কেন ইসকনের সাথে হি/ন্দু ধর্মের লোকদের এত মিল? এত সম্পর্ক? এত এত মিল যার ফলে তারা হয়ে যাচ্ছে ইসকন সদস্য । এদের প্রধান কারণ কে পুঁজি করে ধর্মের নামে উগ্র ইসকন চায় মুসলিম হটাতে,  মুসলিম হত্যা করতে। যার কারনে হিন্দুদের এত মিল ই!সকনের সাথে।

বাংলা একটা প্রবাদ আছে, চোরে চোরে খালাতো ভাই।  নিষিদ্ধ করা হোক ইসকন কে। বাংলাদেশ একটা মুসলিম রাষ্ট্র। তার জন্য  উগ্র  সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হোক। কারন ইসকনের উদ্দেশ্য মুসলিম হটানো।  এ সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য মধ্যযুগের চৈতন্য’র থেকে আগত।  চৈতন্য’র অনতম থিউরী হচ্ছে- “নির্যবন করো আজি সকল ভুবন”। যার অর্থ- সারা পৃথিবী থেকে মুসলমান কে বিতাড়িত করো অথবা মুক্ত করো। ইসকন ঠিক এটাই করে যাচ্ছে মুসলিমদের সাথে । তা নিচে তুলে ধরা হলো।

১) ২০১৪ সালে স্বামীবাগে ইসকন তারাবীর নামাজ আদায়ে বাধা দেয়  ।

২) ২০১৬ সালে সিলেটে ইসকন মন্দির থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদের মুসল্লীদের উপর  গুলি বর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ইসকনীদের হামলায় ডজনখানেক মুসল্লী গুরতর আহত হয়।

৩) ইসকনের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়ায় ২০১৬ সালে খুন হয় সিলেটের এক মসজিদের ইমাম।

৪) ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে ইসকন ফুড ফর লাইফ এই সংগঠন থেকে খাবার বিতরণ করে এবং সেটি ভিডিও করার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়। সেই খাবার গ্রহণের সাথে সাথে শিশুদের বিভিন্নভাবে জোর করা হয় এবং 'হরে কৃষ্ণ' জপতে বলা হচ্ছে।

৫) বুয়েটের আলোচিত আবরার ফাহাদকে হত্যা করার মূল আসামী আমিত সাহা তিনি ইসকন এর সদস্য ছিলো।

আরো পড়ুনঃ ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের যুদ্ধের কারণ কি

এরকম আরো বহু ঘটনা দিন দিন ঘটে চলছে আমাদের চোখের আড়ালে। উগ্র সংগঠন ইসকন বর্তমানে  সব চেয়ে বেশি আলোচিত। বাংলাদেশে লাভ জিহাদ প্রতিরোধ এর নামে, যে নোংরামি করছে হিন্দুরা। এসব করার  পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান উগ্র  সংগঠন ইসকনের। ইসকনের সহায়তায় বাংলাদেশে এসব হচ্ছে । 

বর্তমানে চন্দ্র নাথ পাহাড় ইস্যু নিয়ে মুসলিম আর হিন্দুদের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টি করার উদ্দেশে হিন্দুদের পাশে গিয়ে সামিল হচ্ছে ইসকন।মুসলিমদের সাথে কিভাবে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া যায় সেই প্রচেষ্টায় আছে ইসকন এবং এটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবে রূপদান করার জন্য হিন্দুদের সাথে ঐক্যবদ্ধতা প্রকাশের চেষ্টা করছে। আর তার জন্যেই বলা হয় চোরে চোরে খালাতো ভাই। 

গুগল এডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে

গুগল এডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে

প্রিয় পাঠক, আপনি কি google এডসেন্স সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আপনি কি জানতে চাচ্ছেন গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে? এবং গুগল এডসেন্স থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়। তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ আজ আমরা গুগল এডসেন্স নিয়ে আলোচনা করব। আজ আমরা জানবো গুগল এডসেন্স কি? গুগল এডসেন্স হলো একটি অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম যা google দ্বারা পরিচালিত। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে ইনকাম করতে পারে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে।

গুগল এডসেন্স কি গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে

গুগল এডসেন্স কি?

Google AdSense হলো একটি অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম যা Google দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ প্রদান করে এবং উপভোগকারীদের মাধ্যমে টার্গেট করে। এ থেকে মূলত এডসেন্সের ইনকাম হয়। যদি আপনি Google AdSense ব্যবহার করে থাকেন, তার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা অ্যাপ মধ্যে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারেন এবং এটি দ্বারা আপনি আয় উপার্জন করতে পারেন।

ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে কিভাবে ইনকাম হয় গুগল এডসেন্স এ

Google AdSense-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপ এ বিজ্ঞাপন প্রদান করা হয়। বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন যেমন- টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও এবং লিঙ্ক বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে আপনার মাধ্যমে আপনার ভিউয়ার্সদের বিজ্ঞাপনগুলি ব্যবহার করাতে পারেন। আপনি এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্লিক, ইম্প্রেশন, বা অন্যান্য ক্রিয়াগুলির জন্য google এডসেন্স থেকে পেমেন্ট পাবেন।

গুগল এডসেন্স হল একটি অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম, যা Google দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদান করে এবং উপকারীদের মাধ্যমে টার্গেট করা হয়।গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে ওয়েবসাইট মালিকানাধীন কাজ করে, একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ প্রদান করে। এই বিজ্ঞাপনগুলি আসছে গুগল এডসেন্স নেটওয়ার্ক হতে, যা বিভিন্ন প্রকারের অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে সরাসরি বিজ্ঞাপন প্রচার করে।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি  নতুন উপায়ে

যখন ওয়েবসাইটের দর্শকরা বা অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এই বিজ্ঞাপনগুলি দেখতে পায় এবং তারা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে পারে, তখন ওয়েবসাইট মালিক অথবা অ্যাপ মালিকের টাকা উপার্জন হয়। এটি একটি অনুকরণীয় মডেল, যেখানে আপনি বিজ্ঞাপনে ক্লিক বা ইম্প্রেশনের জন্য টাকা পান।

এডসেন্স দ্বারা প্রদান করা বিজ্ঞাপন মাধ্যমে ওয়েবসাইট মালিকানাধীন প্রায় সময় টাকা উপার্জন করতে সাহায্য করে এবং এটি একটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের প্রচারের জন্য আরও বাজার পৌঁছাতে সাহায্য করে।

গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে ইনকাম

গুগল এডসেন্স ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে হলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে। যা এবং সেটিতে এডসেন্স অ্যাকাউন্ট সংযোজন করতে হবে। তারপর এডসেন্স প্রোগ্রামে ইউটিউব ভিডিওগুলির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে হবে। এটি কিছু পদক্ষেপে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে সেগুলো হলোঃ

প্রথমে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল প্রয়োজন হবে। যাতে আপনি আপনার অরজিনাল কনটেন্ট আপলোড করেন। আপনার চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার পর, আপনি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে জয়েন হতে হবে। এটির জন্য আপনি আপনার চ্যানেলে ৪০০০ ঘন্টা দর্শন বা ওয়াচ টাইম এবং ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।

এরপর আপনি যখন ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ হবেন, তারপর আপনার একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করতে করতে হবে এবং ইউটিউব চ্যানেল সংযোজন করতে হবে। একবার আপনি এডসেন্স একাউন্ট সংযোজন হবেন, তখন আপনি আপনার ভিডিওগুলিতে এডসেন্স বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

যখন ভিডিওগুলি দেখা হবে এবং বিজ্ঞাপনে ক্লিক হবে, তখন আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। মূলত এই উপায়ে, ইউটিউব চ্যানেল থেকে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা করা হয়।

লেখক কথা

গুগল এডসেন্স হলো একটি অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠান। যা গুগল সরাসরি প্রচার করে থাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট অ্যাপসএ এছাড়াও ইউটিউব ভিডিওতে। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে কিংবা আপনি যদি অ্যাপ বানাতে পারেন এবং সেটি প্লে স্টোরে লঞ্চ করতে পারেন, এগুলোতে অনেক ধরনের বিজ্ঞাপন দেখাবে গুগল এডসেন্স।

আরো পড়ুনঃ ব্লগিং করে আয় করুন ঘরে বসে

এছাড়াও আপনার যদি একটি youtube চ্যানেল থাকে, এবং সেখানে যদি ভালো অডিয়েন্স থাকে, গুগল এডসেন্স শেখানো এড দেখিয়ে ইনকাম দেবে। এই ছিল আজকের বিষয়। যা আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। এবং আপনি যদি ভালভাবে বুঝতে পারেন, তাহলে আপনার কাছের মানুষদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এতে তারাও google এডসেন্স এর বিষয়ে জানতে পারবে।
বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

প্রিয় গ্রাহক আপনি নিশ্চয়ই হয়তো বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আগ্রহী। তবে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকে আমরা জানবো মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিকাশ এর এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম। তার সাথে আরো জানবো বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার সুবিধা ও বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে। বিকাশ অ্যাকাউন্ট দিয়ে যেমন আমরা সহজে টাকা লেনদেন করতে পারি। তেমনি কিছু লোক বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

এর জন্য কিছু নিয়ম-কানুন এর প্রয়োজন। সেগুলো নিয়ে আজকে আমাদের এই পোস্ট। এবং আপনারা জেনে রাখা উচিত। যে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলা নিয়ম।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে

আমরা জানি যে কোন ব্যবসার জন্য আমাদের ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া কোন ব্যবসা হয় না। তেমনি বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য আমাদের কিছু ইনভেস্ট করতে হবে। আমরা বিকাশ এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করি। তবে ক্যাশ আউট করতে হলে আমাদের বিকাশ এজেন্ট প্রয়োজন হয়।

আরো পড়ুনঃ একাউন্ট খুললেই ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট

এজন্য বিকাশ এজেন্ট এর কাছে নগদ টাকা থাকা প্রয়োজন।যাতে বিকাশ এজেন্ট এর কাছে কাস্টমার এসে তার কাঙ্খিত পরিমাণের টাকা ক্যাশ আউট করতে পারে। এবার আসুন আপনার বিকাশ এজেন্ট এর দোকান বা প্রতিষ্ঠানটি যদি গ্রামগঞ্জের দিকে হয় তাহলে আপনাকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।

আবার যদি আপনার প্রতিষ্ঠানটি বা দোকানটি শহর, বাজার বা জনসমাগম এলাকায় হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা কিংবা এর চেয়েও বেশি ইনভেস্ট করতে হতে পারে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট হতে চান বা বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট করতে চান তাহলে আপনি তিনটি উপায়ে বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন।
  • অনলাইনের মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট করতে পারবেন।
  • নিজ এলাকার এসআর এর সাথে যোগাযোগ করে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
  • বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে গিয়েও এজেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট তৈরি করার নিয়ম

আপনি যদি অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট করতে চান এর জন্য আপনাকে বিকাশ এজেন্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এবং সেখান আপনাকে একটি আবেদন বা ফরম পূরণ করতে হবে। এর জন্য আপনার প্রথমে বিকাশের ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে। বিকাশ এজেন্ট ওয়েবসাইটঃ https://www.bkash.com/business/agent

এরপর জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী ইংরেজিতে আপনার নাম লিখতে হবে। আপনার ট্রেড লাইসেন্স এর নাম্বার দিতে হবে। আপনার একটি একটিভ ফোন নাম্বার দিতে হবে। আপনার প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার দিতে হবে। আপনার একটি ইমেইল এড্রেস দিতে হবে। এবার নিজের ক্যাপচারটি পূরণ করে পাশে থাকা জমা দিন বাটনে ক্লিক করতে হবে।

আপনার ফর্মটি ভালোভাবে সাবমিট হলে ওই ফর্মে দেওয়ার নাম্বারে আপনাকে ফোন কল দেওয়া হবে। সে ফোন কলের মাধ্যমে আপনার কাছে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য গ্রহণ করবে যেমনঃ
আপনি কি ব্যবসা করেন, আপনার কয়টি দোকান, আপনার দোকান কোথায়, আপনার দোকান বা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে আর কোন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট এর দোকান আছে কিনা, আপনি কেন বিকাশ এজেন্ট হতে চান ইত্যাদি।

বিকাশ এজেন্ট লোকেশন

বিকাশ এজেন্ট হতে হলে আপনার লোকেশন ভালো হতে হবে। যেমন আপনার এলাকায় বা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর আশেপাশে বিকাশ এ লেনদেন কেমন হয়। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা দোকানটি যদি শহরে হয় বা জনসমাগম আছে এমন জায়গায় হয় তাহলে সহজে আপনাকে খুব সহজেই বিকাশ এজেন্ট দিয়ে দেবে।

আরো পড়ুনঃ Google Opinion Rewards থেকে ইনকাম করার উপায়

সেটি গ্রাম হোক কিংবা শহর। এবং যদি আপনার দোকান গ্রামে হয় এবং সেখানে লোকজনের যাতায়াত কম হয় তবে আপনাকে বিকাশ এজেন্ট নাও দিতে পারে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট এর জন্য যা যা প্রয়োজন

আপনি যদি একজন বিকাশ এজেন্ট হতে চান তাহলে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নিন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট এর জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে।
  • আপনার এনআইডি কার্ডের ৪ কপি রঙিন ফটোকপি।
  • পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি ছবি।
  • টিম সার্টিফিকেটের ৪ কপি ফটোকপি।
  • টেড লাইসেন্স এর ফটোকপি ৪ কপি।
  • একটি প্রিপেইড সিম, যাতে কোন বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়নি।

লেখক কথা

আজকে আমাদের এই পোস্টে বিকাশ এজেন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করেছি। চাইলে আপনিও বিকাশ এজেন্ট হতে পারেন। এর জন্য উপরের কিছু নীতিমালা গুলো পূরণ করলে আপনি এই ব্যবসা করে মাস শেষে ভালো কিছু এমাউন্ট পেতে পারেন। আপনার দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এটি একটি ভালো ব্যবসা।

আশা করছি সমস্ত বিষয়গুলো আপনার ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আজকে এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার কাছের লোকজনের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।

নতুনদের জন্য ভিডিও এডিট করার অ্যাপস

নতুনদের জন্য ভিডিও এডিট করার অ্যাপস

প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো নিশ্চয়ই ভিডিও এডিটিং করতে চাচ্ছেন? আপনি যদি নতুন হিসেবে ভিডিও এডিটিং করতে চান মোবাইল দিয়ে তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ আজকে আমরা কয়েকটি মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস নিয়ে আলোচনা করব, যা ব্যবহার করে আপনি সহজেই একটি সাধারণ ভিডিওকে প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এই গুলো ব্যবহার করা খুবই সহজ। আর এই অ্যাপস গুলো প্লেস্টোরে ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবেন।

নতুনদের জন্য ভিডিও এডিট করার অ্যাপস

আপনি যদি সাধারণভাবে ছোটখাটো ভিডিও বানিয়ে থাকেন ইউটিউব শর্টস বা ফেসবুক এর জন্য, তাহলে এই অ্যাপসগুলো খুবই সাহায্য করবে আপনাকে ভিডিও এডিটিং এর জন্য। নতুনদের জন্য অ্যাপসগুলো ব্যবহার করা খুবই সহজ। চলুন তাহলে শুরু করা যাক। অ্যাপস গুলোর নাম ও এর ফিচার সম্পর্কে। আর পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।

ফ্রি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ভিডিও এডিটিং অ্যাপস এর নাম গুলো দেওয়া হলোঃ=
  • Adobe Premiere Clip
  • Powerdirector
  • Lightroom
  • Magisto – editor & slideshow make
  • Kinemaster pro

প্রথমে রয়েছে Adobe Premiere Clip

এডোবি প্রিমিয়ার ক্লিপ ব্যবহার করে মোবাইলেই ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এবং সব ধরনের মোবাইলেই প্রফেশনাল কোয়ালিটিতে ভিডিও এডিটিং করা যায়। এডোবি প্রিমিয়ার লিভ এ অনেক ধরনের এডিটিং টুলস আছে যা আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। সেগুলো হলোঃ Video cutting, trimming, transitions, adding music, filters, effects, photo motion. আরো অনেক ধরনের ফিচার পাবেন এই অ্যাপস এর মধ্যে। এটি আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রিতেই মোবাইল প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন।

তারপরে আছে পাওয়ার ডিরেক্টর Powerdirector

অন্যান্য অ্যাপস গুলোর মতোই এই অ্যাপসেও আপনার বাড়ানো সাধারণ ভিডিও কে প্রফেশনাল মুডে রূপ দিতে পারবে। তবে অন্যান্য এডিটিং অ্যাপস গুলোর চেয়ে এই অ্যাপসে একটু বেশি অপশন পাবেন। যা ভিডিও এডিটিং করতে আরও সাহায্য করবে। এতে আপনারা যে ফিচারগুলো পাবেন সেগুলো হলোঃ ভিডিও এডিটিং, ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ, ভিডিও কাটা জোড়া লাগানো, ফটো দিয়ে ভিডিও বানানো, ভিডিও প্রফেশনাল মুড ইত্যাদি আরও অসংখ্য ফিচারস পাবেন এই অ্যাপসে।

এরপরে আছে লাইটরুম Lightroom

এটি একটি মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হলেও এটা দিয়ে ছবিও এডিট করা যায় এবং ক্যামেরাও আছে যা দিয়ে ছবি তোলা যায়। অন্যান্য অ্যাপস গুলোর মতোই এই অ্যাপসেও ভিডিও এডিটিং এর জন্য অনেকগুলো ভিডিও এডিটিং ফিচারস আছে। এটিও সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্লেস্টোরে পেয়ে যাবেন।

এরপরে আছে Magisto – editor & slideshow make

এটি ব্যবহার করে আপনি ইউটিউব বা ফেসবুকের জন্য প্রফেশনাল মোডে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এটিতে আপনারা এ আই ফাংশন ও পেয়ে যাবেন। যা খুব সহজেই এবং একা একাই আকর্ষণীয় ভিডিও বানিয়ে দিতে পারে এই অ্যাপসটি। এটিও প্লে স্টোরে ফ্রিতেই পেয়ে যাবেন। এই অ্যাপসটি প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করেছে। যা সত্যিই অসাধারণ।

তারপরে আছে Kinemaster pro

অ্যান্ড্রয়েড ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হলো কাইনমাস্টার প্রো। এই অ্যাপ্লিকেশনটি দিয়ে আপনি কম্পিউটারের মতো ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন প্রফেশনাল মুডে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে এটি অনেক শক্তিশালী ও অ্যাডভান্স প্রফেশনাল মোডে ভিডিও এডিটিং করতে সক্ষম। এটাতে আপনি অনেক ধরনের এডভান্স ফিচার পাবেন।

যেগুলো ব্যবহার করে আপনার সাধারণ ভিডিও কে প্রফেশনাল রূপ দিতে পারবে। এই অ্যাপ্লিকেশনটির মধ্যে ভিডিও এডিটিং করার জন্য সব ধরনের ফিচারসই পাবেন। তবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারে একটি সমস্যা হলো ফ্রিতে ভিডিও এডিটিং করলে ভিডিওতে ওয়াটার মার্ক যুক্ত হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট

তবে ওয়াটার মার্ক ছাড়া ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে প্লে স্টোর থেকে অ্যাপসটি কিনে ব্যবহার করতে হবে। গুগলে অনেক ওয়েবসাইটে আপনি এর প্রো ভার্সন কিনতে পারবেন।

লেখক কথা

আজ আমরা নতুনদের জন্য কয়েকটি ভিডিও এডিটিং মোবাইল অ্যাপস নিয়ে আলোচনা করেছি। নতুন অবস্থায় এই অ্যাপস গুলো দিয়ে ভিডিও এডিট করা অনেক হেল্পফুল ও সহজ। আপনি চাইলেও এই অ্যাপস গুলো দিয়ে খুব সহজে সাধারণ ভিডিও কে প্রফেশনাল মোড করতে পারবেন।

এবং অ্যাপসগুলো চালানো খুবই সহজ। উপরের বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়লে আপনি সব বুঝতে পারবেন। আর আমাদের এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার কাছের মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়

ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়

প্রিয় গ্রাহক, আপনি হয়তো ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন। কিন্তু সঠিক নিয়ম না জানার কারণে তা করতে পারছেন না। আমরা জানি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে ইনস্টাগ্রাম বেশ জনপ্রিয় বাংলাদেশ ছাড়া। এটি ফেসবুকের মতোই যা ব্যবহারকারীদের ছবি বা ভিডিও পোস্ট করার সুযোগ দেয়। ইনস্টাগ্রামে ও ফেসবুকের মতোই পেজ চালানো যায়।

ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়

বিভিন্ন ধরনের অনেক কাজ আছে যা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে ইনকাম করা যায়। এই পোস্টে আমরা জানব কিভাবে ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করা যায় এবং তার সহজ উপায়ের বিষয়গুলো। এছাড়াও জানব প্রোডাক্ট বিজ্ঞাপন ও ব্যান্ড স্পন্সার নিয়ে কিভাবে ইনকাম করা যায়।

Instagram থেকে ইনকাম করার উপায়

ইনস্টাগ্রামে ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যার মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো যা বাংলাদেশ থেকেও এ ধরনের কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন ইন্সটাগ্রাম থেকে। চলুন তাহলে শুরু করা যাকঃ

১. প্রোডাক্ট বা সেবা বিজ্ঞাপন করা

যদি আপনার কোন ব্যবসায় থাকে বা কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তবে ইনস্টাগ্রাম একটি উত্তম মাধ্যম হতে পারে আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন করার জন্য। প্রথমেই আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজে একটি স্পেসিফিক কমার্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

এটি আপনাকে বিভিন্ন পণ্য এবং সেবার তথ্য প্রদান করতে সুবিধা দিবে এবং গ্রাহক বা ক্রেতা আনতে সুবিধা করবে এই ইনস্টাগ্রাম পেজ। পণ্য বা সেবা প্রদর্শন করার জন্য এটি ভাল উপায়। মানুষেরা ইনস্টাগ্রামের মধ্যে সরাসরি ক্রয় করতে পারেন এবং তাদের বিশ্বাসের অন্তর্ভূক্ত হতে পারে আপনার সেই।

২. আফিলিয়েট মার্কেটিং

অন্যের প্রোডাক্ট আপনি যেকোন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারণা করে বিক্রি করে দেওয়ার নামই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি ইনস্টাগ্রামে একটি প্রোডাক্টের প্রচারণার্থে আফিলিয়েট লিংকের ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন পণ্য সংস্থা আপনাকে একটি বিশেষ লিংক দিবে যদি আপনার ভালো ফলোয়ার বা অডিয়েন্স থাকে।
সেই লিংক আপনি আপনার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। যে কেউ যদি আপনার পোস্টের উপর ক্লিক করে ওয়েবসাইটে যায় এবং সেখানে কোন পণ্য কিনে, সেখান থেকে আপনাক আফিলিয়েট কমিশন পাবেন। এই মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারেন।

৩. স্পন্সর পোস্ট

আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজে যখন ভালো ফলোয়ার বা অডিয়েন্স থাকবে তখন কোনো ব্র্যান্ড আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজকে স্পন্সর করতে দিতে পারে বা তাদের পণ্য বা পরিষেবা প্রমোট করতে দিতে পারে। এটি কিছুটা প্রোডাক্ট রিভিউ এর মতো। যা কোন ব্র্যান্ড কোম্পানি আপনাকে আপনার পেইজে তাদের প্রোডাক্ট এর পোস্ট করতে দিবে।

স্পন্সারশিপের বিবরণ পোস্টে আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজে একটি লিংক দিবে, যা গ্রাহকদের পণ্যের ওয়েবসাইটে পৌছাতে পারে। কোন কোন সময় কোন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট আপনাকে প্রমোট করতে হতে পারে। যা তাদের বিক্রয় বৃদ্ধি করার মূল উদ্দেশ্য।

Instagram এ ব্যবসা শুরু করার কিছু টিপস

ইনস্টাগ্রামে ব্যবসা শুরু করতে হলে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করা উচিত:

আপনার প্রোফাইল ব্যানার, প্রোফাইল পিকচার এবং উপস্থিতির বিবরণ সামগ্রিকভাবে আকর্ষণীয় এবং প্রফেশনালভাবে প্রদর্শিত করা উচিত। নিয়মিতভাবে পোস্ট করুন এবং স্টোরিতে আপডেট করুন। মানসিকভাবে আপনার ওয়েবসাইটে পণ্যের সাথে সম্পর্কিত প্রকাশনা করুন ও গ্রাহকদের আকর্ষণ জাগান।

আপনার পোস্টে আকর্ষণীয় ও মজারপূর্ণ ছবি এবং ভিডিও যুক্ত করুন। আপনার পোস্টে হ্যাশট্যাগ যুক্ত করুন যা আপনাকে আরও দর্শক এবং নতুন অনুসন্ধানকারী আনবে। আপনার অনুসরণকারীদেরকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের যোগাযোগ করুন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যান। নিয়মিতভাবে তাদের প্রশ্ন ও মন্তব্যের প্রতিউত্তর দিয়ে কাস্টমার পরিবেশন করুন।

ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে কয়েক ধরনের ইনকাম

ইনস্টাগ্রামে পেজ থেকে ইনকাম পাওয়া যায় এরকম কিছু উপায়ে:

ডায়ারেক্ট সেলিং: আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে পণ্য সরাসরি অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। যদি কেউ আপনার পোস্টটি দেখে আকর্ষিত হয় এবং ঘরে বসেই পণ্যটি ক্রয় করে, তাহলে আপনি সরাসরি উপার্জন করতে পারেন।

রিভিউ এবং রেটিংআপনাকে আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজে কেউ রিভিউ এবং রেটিং পোস্ট করতে উৎসাহিত করতে পারেন। এটি আপনার ব্র্যান্ডের বিশ্বাস ও বিশ্বস্ততা তৈরি করতে সাহায্য করবে এবং আপনার গ্রাহকদের উত্তরগুলি আনতে সাহায্য করবে।

পোস্টের মাধ্যমে ইনকাম: আপনি যদি স্পন্সর পোস্ট করে বা কোন ব্র্যান্ডের প্রচার করেন, তবে আপনি এই মাধ্যমে আয় করতে পারেন। ব্র্যান্ড আপনার পেজের মাধ্যমে তাদের পরিষেবা বা পণ্যটি প্রচার করবে এবং তারা আপনার পোস্টের বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনাকে কমিশন পরিশোধ করবে।

ইনস্টাগ্রামে স্পন্সার নিয়ে ইনকাম

স্পন্সার একটি অন্যতম উপায় ইনস্টাগ্রামে ইনকাম করার। এটি খুবই জনপ্রিয় এবং প্রফেশনালভাবে প্রদত্ত উপায় হলো এ কাজের পক্ষে এরকম কিছু ধাপ অনুসরণ করা উচিত:

স্পন্সার নিয়ে ইনকাম করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে ইনস্টাগ্রামে একটি ভালো পেজ থাকতে হবে, যাতে অনেক বেশি ফলোয়ার ও অডিয়েন্স থাকে। এরপর আপনি কোন ব্র্যান্ডের স্পন্সারশিপ পেতে পারেন। এরপর ধরুন আপনি একটি স্পন্সরশিপ এর পোস্ট করতে চাচ্ছেন।

আরো পড়ুনঃ HGZY/BDT গেম খেলে আয় করুন লাখ টাকা

পোস্টটি ব্র্যান্ডের জন্য স্পেসিফিক হতে হবে এবং আপনার পোস্টে ভালভাবে উপস্থাপিত হতে হবে।পোস্টটি ব্র্যান্ডের সাথে সম্পর্কিত হতে হবে। আপনার পোস্টে ব্র্যান্ডের পণ্যের এমনভাবে সেবা দেখান যাতে গ্রাহক প্রোডাক্টটি কিনার জন্য উৎসাহিত হয়। আর আপনার প্রতিটি পোস্টকে ভালভাবে প্রচার করতে হবে।

লেখক কথা

ইনস্টাগ্রাম একটি শক্তিশালী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তার সাহায্যে আপনি অনেক ভাবে ইনকাম করতে পারেন। আপনি প্রথমেই আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজ তৈরি করুন এবং তাতে ফলোয়ার বা ভালো অডিয়েন্স তৈরি করুন।

তারপর সেই পেজে প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচার করুন, সামগ্রিক প্রেজেন্টেশন পরিবর্তন করুন এবং সবসময় গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করুন।যেকোনো উপায়ে, ইনস্টাগ্রাম আপনার অনলাইন ব্যবসার একটি মান তৈরি করুন। এভাবে আপনি ইনস্টাগ্রাম মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া \ ৯টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া \ ৯টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

প্রিয় পাঠক, আপনি কি অনলাইনে ব্যবসা করার চিন্তা করছেন? আপনি কি অনলাইনে বিজনেস করার উপায় বা আইডিয়া খুঁজছেন? যে এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ আমরা এই পোস্টে অনলাইনে ব্যবসা করার কয়েকটি ইউনিক টপিক বা আইডিয়া নিয়ে কথা বলেছি।

অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া  ৯টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক আইডিয়া রয়েছে, এটি আপনার দক্ষতা, আগ্রহ, এবং লক্ষ্যের উপর নির্ভর করতে পারে। এরপরেও আমি কিছু ব্যবসায়িক আইডিয়া উল্লেখ করছি যা আপনি চিন্তা করে দেখতে পারেনঃ

ই-কমার্স ও অনলাইন শপ      

অনলাইনে আপনি দোকান শুরু করতে পারেন এবং বিভিন্ন পণ্য বা নিজের নিজস্ব উৎপাদন করে বিক্রি করতে পারেন। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে আপনার পণ্যের বিক্রয় বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং বা প্রোডাক্ট রিভিউ

আপনি ফেসবুক পেজে মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট এর রিভিউ করে এবং তাতে সেই প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়েও আপনি ইনকাম করতে পারেন। এটি আপনি যে কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে কিংবা নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই প্রোডাক্ট রিভিউ বা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স সেবা

আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং মাল্টিমিডিয়া সংস্করণের জন্য অনলাইনে সেবা প্রদান করতে পারেন। ওয়েবসাইট ডিজাইন, লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ইত্যাদি তৈরি করে ইনকাম করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি  নতুন উপায়ে

ই-বুক লেখা

আপনি যদি ভালো লিখতে পারেন, তাহলে আপনি e-book লিখে নিজস্ব ওয়েবসাইটে কিংবা অন্যান্য লেখককে ই-বুক লিখে দিয়েও অনলাইনে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম

অনলাইনে শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারেন কিংবা কোন বিশেষ শিক্ষার উপর অনলাইন কোর্স করিও আপনি ভালো ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং পরামর্শ দেওয়া

আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারেন এবং বিভিন্ন কোম্পানিগুলি বা ব্যক্তিবর্গগুলির সাথে সাক্ষাৎকার করতে পারেন।

অনলাইন আপনার স্বাস্থ্য সেবা প্রদান

সুস্থ জীবনযাত্রা, শখ এবং যোগাযোগের জন্য অনলাইন সেবা দিতে পারেন, উদাহরণস্বরূপ, অনলাইন ডায়েটিশিয়ান বা ফিটনেস কোচিং ইত্যাদি বিষয়ে আপনি অনলাইন সেবা দিতে পারেন। এবং সেখান থেকে ভাল ইনকাম পাবেন।

ফ্রিল্যান্সিং পরিষেবা

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফ্রিল্যান্সিং এর ওপর আপনি যদি দক্ষ হন, তবে নিজের দক্ষতা এবং ক্ষমতা উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সিং পরিষেবা প্রদান করতে পারেন, যেমন ব্লগ লেখা, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ ব্লগিং করে আয় করুন ঘরে বসে

হাতের তৈরি পণ্য বিক্রয়

আপনি হাতের বানানো যে কোন পণ্য তৈরি করতে পারেন এবং এটি অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন, যেমন হ্যান্ডমেড, নকশী কাঁথা, ক্রাফট আইটেম, ঘর সাজানোর জন্য কোন পণ্য ইত্যাদি।

লেখক কথা

আমরা উপরে কিছু অনলাইনে ব্যবসা করার কয়েকটি আইডিয়া সম্পর্কে বলেছি। এই ব্যবসার আইডিয়াগুলি আপনার মডেল, আগ্রহ এবং লক্ষ্যের সাথে মিল রেখে এবং আপনি যা বেশি পছন্দ করতে পারেন তা নির্বাচন করতে সাহায্য করতে পারে। এই ব্যবসাগুলো আপনি যেকোন সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিজস্ব ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন কোন বিষয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন কোন বিষয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। দেশের অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত পেশায়। মুক্ত পেশায়ের কারণ হলো এর কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। আপনি ইচ্ছামত সময় কাজ করতে পারবেন শুধু আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে। আজ আমরা এই পোস্টে ফ্রিল্যান্সিং এর যাবতীয় প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে আলোচনা করব।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন কোন বিষয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ

আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন, নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের উপর বেশি চাহিদা এবং ফ্রেন্ডসিং কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি। আশা করি এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে ফ্রিল্যান্সিং এর যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন

বর্তমান সময়ে আমরা অনলাইন থেকে সবাই ইনকাম করতে পারি। তবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার কিছু জিনিসের প্রয়োজন হবে? সে জিনিসগুলো দিয়ে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করতে পারবেন। সেগুলো হলো,

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনাকে কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। কারন আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ না হলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে পারবেন না। আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ না হয়ে অনলাইনে কাজের খোঁজ করলে আপনি ভালোমতো কাজ পাবেন না। এবং বড় বড় মার্কেটপ্লেসে এপ্লাই করলেও কোন ফিডব্যাক পাবেন না।

তাই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং যে কোন কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য যেমন দক্ষতা প্রয়োজন তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন হল ধৈর্য।কারণ ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখতে হলে আপনাকে প্রচুর সময় ব্যয় এবং প্রচুর ধৈর্য ধরতে হবে।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রি টাকা ইনকাম করার আপস 

এবং এ বিষয়ে সাকসেস হতে হলে হাতে কয়েক বছর সময় নিয়ে কাজ করতে হবে। কয়েক বছরে এ বিষয়ে ভালোমতো দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আপনি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠবেন।কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ধারণা, ফ্রিল্যান্সিং শেখার পূর্বে আপনাকে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সাধারণ ধারণা শিখতে হবে। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং কাজ ইন্টারনেট ভিত্তিক।

বিভিন্ন কাজের জন্য বাইরের সাথে কথা বলা ফাইল লেনদেন ইত্যাদির জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন। তাই আপনার ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের সব সময় ইন্টারনেট থাকে এমন ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়াও এই কাজের উপর পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে, শেখার প্রবল ইচ্ছা থাকতে হবে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট থাকতে হবে এবং ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষ হতে হবে।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য নতুনদের কিছু প্রশ্ন লেগেই থাকে যেমন, ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি লাগবে, কোন বিষয়ে শিখব, কোন বিষয়ে মার্কেটপ্লেসের চাহিদা বেশি, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রতিদিন বেরিয়ে চলেছে নতুনদের সংখ্যা। কেউ দক্ষতা অনুযায়ী মার্কেটপ্লেসে যারা করে নিচ্ছে।

আবার নতুনরা দক্ষতা ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং এ প্রবেশ করে ঝরে পড়ছে। প্রাথমিকভাবে নতুনরা যে বিষয়ে খেয়াল রাখবে সেগুলো হলোঃ কম্পিউটার বেসিক নলেজ। সঠিক ইন্টারনেট ব্যবহার। পছন্দের যে কোন একটি সেক্টর। ইংরেজিতে দক্ষতা। একটি ভালো গাইডলাইন বা কোর্স করা। ধৈর্য ধরে প্র্যাকটিস করা।

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং কাজের ভিতর অনেকগুলো সেক্টর আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজতম সেক্টর হচ্ছে ডাটা এন্টি। এটি আপনি খুব সহজেই শিখে নিয়ে কাজ করতে পারবেন। তবে বর্তমান সময়ে ডাটা এন্ট্রির ভ্যালু অনেক কমে গেছে। এরপরে আছে ডিজিটাল মার্কেটিং।

মার্কেটিং এর ভিতরেও ও অনেকগুলো ভাগ আছে। যেমন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট(SMM), সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান(SEO), ব্লগিং, এন্ড ক্যাম্পিং ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে যে কোন একটিতে ভালোমতো দক্ষতা অর্জন করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভালো কিছু করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো

ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রথমে যে সমস্যায় আমরা করি সেটি হল ল্যাপটপ বা পিসি নিয়ে। সাধারণত আউটসোর্সিং কাজ সাধারণ ল্যাপটপেই চলবে। যেমন ডাটা এন্ট্রি ব্লগিং এসইউ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। ন্যূনতম 4gb রেম প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিতেই মোবাইলে ফ্রিলান্সিং শিখুন।

তবে আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন কিংবা ভিডিও এডিটিং এর জন্য ল্যাপটপ নেন তাহলে এর জন্য ভালো কনফিগারেশন দরকার। তবে আমার মতে Dell XPS 15 বেস্ট ল্যাপটপ। এ দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সব ধরনের কাজ করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। এখানে অনেক ধরনের সেক্টরে অনেক অনেক কাজ পাওয়া যায়। আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম করা আপনার জন্য খুবই সহজ। ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেকগুলো সেক্টর আছে যেমনঃ

  • ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং, এড ক্যাম্পিং, এসইও, ব্লগিং,
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, গুগল এন্ড ফেসবুক এড।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন।
  • ওয়েব ডিজাইন, কোডিং।
  • ভিডিও এডিটিং, 3D ভিডিও, অ্যানিমেশন ভিডিও, ছবি এডিটিং।

লেখক কথা

ফ্রিল্যান্সিং একটি অনেক বড় সেক্টর এবং মুক্ত পেশা। এই সেক্টরে কাজ অনেক কাজ পাওয়া যাবে যদি ভালো কোন দক্ষতা থাকে। তবে দিন দিন অনেকেই এর সেক্টরের প্রবেশ করছে কোন দক্ষতা ছাড়াই। দক্ষতা ছাড়াও প্রবেশ করে অনেকেই ঝরে পড়ছে সেক্টর থেকে। তাই আগে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং কে পেশার হিসেবে নিতে পারেন।

রাবিতে সেমিস্টার প্রথার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর গণজোয়ার

রাবিতে সেমিস্টার প্রথার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর গণজোয়ার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার প্রথা বাতিলের জন্য আওয়াজ তুলেছেন -  আজ ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ রোজঃ বুধবার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আনুমানিক বেলা ১১ঃ০০ টার সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে থেকে এই সেমিস্টার প্রথার বিরুদ্ধে গণ মিছিল করেন। 

রাবিতে সেমিস্টার প্রথার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর গণজোয়ার

এতে শিক্ষার্থীরা জানায় যে, সেমিস্টার ভিত্তিক পরীক্ষা হওয়ার চেয়ে বাৎসরিক ভাবে পরীক্ষা হওয়া তাদের জন্য বেশ সুবিধা জনক ও যুক্তিযুক্ত। বেশ কিছু শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সেমিস্টার ভিত্তিক পরীক্ষা শুধুমাত্র সিজিপিএ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কিন্তু বাস্তবিক অর্থে শিক্ষার্থীদের নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার প্রবণতা নষ্ট করে এবং বুদ্ধিবৃত্তি বিকাশে বাধা প্রদান করে। তাই তারা সেমিস্টার পদ্ধতির পরীক্ষার এই অস্বস্তিকর বিষয় থেকে মুক্তি পেতে চায়। 

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি  নতুন উপায়ে

সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা আরও জানান যে, গভীরভাবে জ্ঞান অর্জনের জন্য বা কোন একটি বিষয়ে বিস্তর ভাবে জানতে ও গবেষণা করার মত সময় সেমিস্টার পদ্ধতিতে পাওয়া যায় না। তাই সেমিস্টার ভিত্তিক এই ব্যবস্থাকে চান না শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন বাৎসরিক ভাবে পরীক্ষা ও বাৎসরিক শিক্ষা ব্যাবস্থা আমাদের যোগ্য করে তুলতে সাহায্য করবে। কিন্তু সেমিস্টার প্রথার কারনে আমরা সত্যিকারের জ্ঞান সাধনা থেকে অনেক দূরে এবং এই ব্যাবস্থা কারনে আমরা অনেক চাপের মুখে থাকি এবং নিজেদের মেধাকে বিকশিত করতে অসুবিধা হয় যার কারনে আমরা এই সেমিস্টার প্রথা বা এই ধরনের শিক্ষা ব্যাবস্থা চাই না। এভাবেই আওয়াজ তোলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

সেমিস্টার কে না বলতে শিক্ষার্থীদের এই গণ মিছিলে শিক্ষার্থীদের হাতে বেশ কিছু লিফলেট দেখা যায়। যেখানে বেশ কিছু স্লোগান উল্লেখযোগ্যঃ 

  • আইন অনুষদে - সেমিস্টার ইয়ার  
  • গভীর জ্ঞান গবেষণা, সেমিস্টারে মিলবে না 
  • সেমিষ্টারে সিজি হালি, কিন্তু আমার মাথা খালি
  • সেমিস্টারে নেই স্বস্তি, বার্ষিকতায় মুক্তি 

আরো পড়ুনঃ ব্লগিং করে আয় করুন ঘরে বসে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও এডমিশন কেন্দ্রিক তথ্য পেতে আমাদের পেজ ও ওয়েব সাইটে যুক্ত হন।
ফেসবুক পেজে যুক্ত হতে ক্লিক করুন 
আমাদের ওয়েব সাইটে আরো তথ্য পেলে ক্লিক করুন 

প্রতিবেদকঃ 

নাহিদ হাসান 
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

প্রিয় পাঠক, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার কথা ভাবছেন? আপনি কি মোবাইল দিয়ে ভালোভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখে ইনকাম করতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। অনেকেই মনে করে মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়। আবার অনেকেই মনে করে মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা যায়? এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর হলো হ্যাঁ।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

সত্যি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে ঘরে বসেই আপনি ভালো কিছু ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে ভালোমতো কোন একটি বিষয়ের উপর স্কিল বা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। আপনি অনেক জায়গায় ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পারবেন। অনলাইনে কিংবা অফলাইনে।

তবে আজ আমরা কথা বলব কিছু ওয়েবসাইট, অনলাইন প্লাটফর্ম, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব ভিডিও ও কয়েকটি youtube চ্যানেল। যা থেকে আপনি ফ্রিতেই ফ্রিল্যান্সিং এর কোন একটি বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করে মোবাইল দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। তো চলুন তাহলে শুরু করা যাক। 

ফ্রিল্যান্সিং শেখার এবং এটি কাজ করার জন্য মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করতে একাধিক উপায় রয়েছে।

ওয়েবসাইট ও এপ্লিকেশন ব্যবহার করুন

কিছু ওয়েবসাইট ও মোবাইল এপ্লিকেশন আছে যা ফ্রিল্যান্সিং শেখার সুযোগ সৃষ্টি করে। Upwork, Freelancer, Fiverr, ইত্যাদি হলেও এগুলি দ্বারা নিজেকে অভ্যন্তরিনভাবে প্রস্তুত করতে পারবে। এছাড়াও আপনি মোবাইল ডিভাইসে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কিছু প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিতেই মোবাইলে ফ্রিলান্সিং শিখুন

এই প্লাটফর্ম গুলোতে আপনি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকেই ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পারবেন, যে কোন স্থান থেকে।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনি যেকোনো ধরণের প্রশ্নের উত্তর পাবেন এবং অন্যদের সাথে অভিজ্ঞতা ভাগ করতে পারেন। এটি আপনার বৃদ্ধির জন্য উপকারী হতে পারে এবং সম্প্রদায় বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করতে সাহায্য করতে পারে।

আইটি ব্লগ, ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখুন

বিভিন্ন ব্লগ এবং ইউটিউব চ্যানেলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সম্পর্কে এবং নতুন দক্ষতা শেখার উপায়ের ভিডিও টিউটোরিয়াল পেতে পারেন। আইটি ব্লগ এবং ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে অনেক কিছু শিখতে পারবেন, যেগুলি ফ্রিল্যান্সিং শেখা করতে উপকারী হতে পারে।

এখানে কিছু আমার দেখা কিছু ভালো অনলাইন ব্লগ ও ইউটিউব চ্যানেল সাজেস্ট করলাম। যেগুলো থেকে আপনি ভিডিও দেখে এবং ব্লক করে ভালোমতো প্র্যাকটিস করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারবেন। সেগুলো হলোঃ

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি  নতুন উপায়ে

Freelancer's Journey

এটি একটি ফ্রিল্যান্সিং ব্লগ যেখানে একজন ফ্রিল্যান্সার তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা শেয়ার করেন। আপনি চাইলে এসে ব্লক গুলো করে অনেক কিছু বুঝতে পারবেন।

Upwork Blog

আমরা শুধু জানি Upwork একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। তবে Upwork হলো একটি পরিচিত ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে তাদের ব্লগে প্রতিদিনের ফ্রিল্যান্সিং সংবাদ, টিপস, এবং ভিডিও টিউটোরিয়াল পাবলিশ করে। আপনি যেখান থেকেও কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। এবং ফ্রিল্যান্সিং কে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এখান থেকে।

Toptal Blog

Toptal একটি উচ্চ-পরিস্থিতি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম এবং তাদের ব্লগে তাদের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য উপকারী উপায় এবং উপায়ের কিছু সাধারণ প্রবন্ধ পাওয়া যায়। আপনি চাইলে তাদের সাইডেও ভিজিট করে দেখতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল

Traversy Media এটি একটি পরিচিত ইউটিউব চ্যানেল যেখানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিং, এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামিং সম্পর্কে কিছু জানতে চান বা এই নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে এই ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে পারেন।

The Net Ninja এটি একটি বিশাল সংখ্যক টিউটোরিয়াল সম্পর্কে সামগ্রিক ইউটিউব চ্যানেল, যা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গেইম ডেভেলপমেন্ট এবং অন্যান্য বিষয়ে বিভিন্ন ধরণের টিউটোরিয়াল প্রদান করে। আপনার যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা গেম ডেভেলপমেন্ট এর আগ্রহ থাকে বা এই বিষয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন তাহলে এই ইউটিউব চ্যানেলটি আপনি দেখতে পারেন।

এই ভিডিও গুলি আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন দিকের জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করতে পারে। ভিডিও টিউটোরিয়ালগুলি দেখে মোবাইল ডিভাইস থেকেও প্রোগ্রামিং এবং ডিজাইন সম্পর্কে শেখা সম্ভব।

অনলাইন কমিউনিটি যোগ দিন

ফ্রিল্যান্সিং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে আপনি একটি অনলাইন কমিউনিটি যোগ দিতে পারেন, যেখানে আপনি অন্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং নতুন প্রকল্পে জড়িত হতে পারেন। কিন্তু আপনি এটিও মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং শেখা বা ফ্রিল্যান্সিং অনুসারী যোগ দেওয়া অনেক সময় সাপেক্ষ, অনেক পরিশ্রম ও অনেক ধৈর্যের কাজ। কিন্তু নিজেকে প্রবৃদ্ধি করার অনেক সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে এই থেকে।
বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম-

বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম-

প্রিয় পাঠক, আপনি কি বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলার কথা ভাবছেন? আপনি কি জানতে চাচ্ছেন বিদেশে বসেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজ আমরা এই পোস্টে জানবো বিদেশ এ বসেই বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম। আপনি যদি বিদেশে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারেন, তাহলে দেশি টাকা পাঠানোর জন্য কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না। 

বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি খুব সহজেই বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন মুহূর্তের মধ্যে। বিকাশের নতুন আপডেট এ এখন এর সুবিধা শুধু বাংলাদেশী নয়, বিদেশেও এর সুবিধা পাওয়া যায়। তবে বিদেশে খুব অল্প পরিমাণে এর সেবা চালু হয়েছে। যেমন সেন্ড মানি করে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। 

এছাড়াও আপনি মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন।আপনি বিদেশে যেকোনো রেমিটেন্স চ্যানেল থেকে টাকা নিতে পারবেন আপনার বিকাশ একাউন্ট। বিস্তারিত জানতে নিচের পোস্টগুলো পড়ুন।

বিদেশে বিকাশ একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন হয়

আমরা অনেকে মনে করে থাকি বিদেশে বিকাশ একাউন্ট খোলা অনেক ঝামেলা। বা বিদেশে বিকাশ একাউন্ট খুলতে অনেক কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। তবে এখন আর নয়। বিকাশে নতুন আপডেট আসার পর, বিদেশে বিদেশ একাউন্ট খুলতে মাত্র কয়েকটি কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। সেগুলো হলোঃ

  • আপনি যে দেশে আছেন সেই দেশের একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
  • আপনার পাসপোর্ট।
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি বা জাতীয় পরিচয় পত্র।

আরো পড়ুনঃ একাউন্ট খুললেই ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট

এই কয়েকটি জিনিস দিয়ে আপনি সহজে বিদেশে বসে যে কোন স্থান থেকে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য আপনার একটি মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন হবে। প্রথমে আপনাকে প্লে স্টোর থেকে একটি বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে হবে। এরপর অ্যাপটিতে ঢুকে লগইন বা রেজিস্ট্রেশন অপসনে ক্লিক করতে হবে। এবার আপনার দেশ সিলেট করতে হবে যে দেশে আপনি আছেন।

এরপর আপনার হাতে থাকা বিদেশি নাম্বারটি দিন। এবার সেই নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে সেটি বসিয়ে একাউন্টে ভেরিফাই করুন। এবার কিছু শর্তাবলী দিবে যেগুলো আপনি পড়ে নিচে বক্সে টিকমার করে দিবেন। এবার প্রয়োজন হবে আপনার পাসপোর্ট এর। আপনার দেশ ত্যাগর প্রমাণ হিসেবে বিদেশ আগমনের স্ট্যাম্পের ছবি আপলোড করুন।

এরপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি তুলুন দুইপাশের দুইটি। জাতীয় পরিচয় এর ছবি আপলোড দেওয়ার পর অটোমেটিক কিছু তথ্য দেখানো হবে যেগুলো আপনার পরিচয় পত্রে রয়েছে। এই তথ্যগুলো আপনি ভালোমতো যাচাই করে নিবেন। এরপর কিছু সাধারন তথ্য দিন। যেমনঃ আপনি কি করেন, আপনার মাসিক আয় কত, এমনই কিছু তথ্য।

সব শেষে আপনাকে আপনার সেলফি তুলে ফেস ভেরিফাই করতে হবে। ফ্রেস ভেরিফাই করার পর সাবমিট করুন। তথ্য সাবমিট হয়ে গেলে আপনার একাউন্টের একটি লগইন প্রিন্ট দিন। ব্যাস কাজ শেষ। এবার এই তিনটি দিয়ে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন করতে পারবেন এবং ব্যবহার করতে পারবেন।

বিকাশ কোন কোন দেশে ব্যবহার করা যাবে এবং এর সুবিধা কি কি

বিকাশ একটি বাংলাদেশি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। তবে বিকাশ এর নতুন আপডেট অনুযায়ী এখন বিদেশেও বিকাশ ব্যবহার করা যাবে। এ কথা শুনে আপনাদের মনে একটি প্রশ্ন যে, কোন কোন দেশে থেকে বিকাশ ব্যবহার করা যাবে। বিকাশ আপডেটে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১২ টি দেশ থেকে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে।

তবে সুবিধার দিক দিয়ে বিদেশে বিকাশ এভেলেবল নয়। এর জন্য হাতে গোনা কয়েকটি সুবিধা পেতে পারে বিদেশ সে বিকাশ ব্যবহারকারী। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, সেন্ড মানি। আপনি বিদেশ আপনার প্রিয়জনের নাম্বারে সরাসরি সেন্ড মানি করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি  নতুন উপায়ে

এছাড়াও মোবাইল রিচার্জ ও রেমিটেন্স এর সুবিধা থাকছে। এবার তাহলে জানা যাক বিশ্বের ১২টি দেশের নাম, যে দেশ থেকে আপনি এই সুবিধাগুলো পাবেন।
  • যুক্তরাজ্য,
  • সৌদি আরব
  • সংযুক্ত আরব আমিরাত
  • সিঙ্গাপুর
  • দক্ষিণ কোরিয়া
  • মালয়েশিয়া
  • দক্ষিণ আফ্রিকা
  • কুয়েত
  • ইতালি
  • কাতার
  • ওমান
  • বাহরাইন

লেখক কথা

বিকাশ একটি বাংলাদেশ সিম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। যেটি ২০১১ সাল এ যাত্রা শুরু করে এবং ২০১৩ সালে এর এক কোটি গ্রাহক নিবন্ধিত হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত বিকাশ জনসাধারণের মধ্যে সেবা প্রদান করে আসছে। তবে আজ থেকে কয়েক বছর আগে বিকাশের অনেক ধরনের ফিচার না থাকলেও বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের ফিচার এবং সুবিধা পাওয়া যায় বিকাশে।

ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পেরিয়ে বিশ্বের ১২ টি দেশ এ জায়গা করে নিয়েছে এ বিকাশ। তবে দেশগুলোতে বাংলাদেশের তুলনায় তেমন সুবিধা পাওয়া না গেলেও, আপনি ওই দেশ থেকে বাংলাদেশে সরাসরি সেন্ড মানি রিচার্জ এবং রেমিটেন্স পাঠাতে পারেন। আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি ভালোভাবে পড়ে থাকেন,

তাহলে জানতে পারবেন বিদেশ থেকে কিভাবে বিকাশ একাউন্ট খুলতে হয় এবং কোন কোন দেশে এর সুবিধা চালু আছে। তাদের এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার কাছের মানুষদের সাথে কিংবা প্রবাসী ভাই-বোনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

   ধন্যবাদ।


ইমেইল মার্কেটিং কি-ইমেইল কিভাবে কাজ করে

ইমেইল মার্কেটিং কি-ইমেইল কিভাবে কাজ করে

প্রিয় গ্রাহক, আপনি কি ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? জানতে চাচ্ছেন ইমেইল মার্কেটিং ব্যবহার করে কিভাবে ব্যবসার উন্নতি করা যায়? ইমেইল মার্কেটিং ব্যবসায় কতটুকু সহায়ক হতে পারে সে সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। ইমেল মার্কেটিং একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল, যা পণ্য বা পরিষেবার প্রচারের জন্য ইমেল ব্যবহার করা হয়। এটি গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করার একটি সরাসরি উপায়।

ইমেইল মার্কেটিং কি-ইমেইল কিভাবে কাজ করে

ব্যবসাগুলি গ্রাহকদের কাছ থেকে ইমেল ঠিকানা সংগ্রহ করে এবং তাদের প্রচারমূলক বার্তা বা তাদের পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে আপডেট পাঠায়। লক্ষ্য হলো গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা, ব্যবসার পুনরাবৃত্তিকে উৎসাহিত করা এবং শেষ পর্যন্ত বিক্রয় চালনা করা। ইমেল মার্কেটিং গ্রাহকের আচরণ, পছন্দ, বা জনসংখ্যার তথ্যের উপর ভিত্তি করে ব্যক্তিগতকৃত হতে পারে। এই ব্যক্তিগতকরণ মার্কেটিং বার্তার কার্যকারিতা বাড়াতে পারে।

ইমেইল কিভাবে কাজ করে

একটি ইমেল তালিকা তৈরি করুনঃ ইমেল মার্কেটিং প্রথম ধাপ হলো, গ্রাহকদের কাছ থেকে ইমেল ঠিকানা সংগ্রহ করা। এটি বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে করা যেতে পারে, যেমন আপনার ওয়েবসাইটে সাইন-আপ ফর্ম, সোশ্যাল মিডিয়া, ইন-স্টোর সাইন-আপ বা ইভেন্টের মাধ্যমে ইত্যাদি।

আপনার গ্রাহকদের ভাগ করুনঃ আপনার ইমেল ঠিকানাগুলির একটি তালিকা হয়ে গেলে, আপনাকে আপনার গ্রাহকদের ভাগ করতে হবে। এর অর্থ হলো আপনার গ্রাহকদের কে তাদের আগ্রহ, আচরণ বা জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন গ্রুপে ইনভাইট করা। উদাহরণস্বরূপ, আপনার একটি রেস্টুরেন্ট আছে অথবা কোন মোদি সব আছে। সেখানে আপনি আপনার গ্রাহকদের কে বিভিন্নভাবে ইনভাইট করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক মার্কেটিং কি ? ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করে

আকর্ষণীয় বিষয় তৈরি করুনঃ পরবর্তী ধাপ হলো আপনার ইমেলের জন্য আকর্ষক সামগ্রী তৈরি করা। এটি হতে পারে একটি নিউজলেটার, প্রচারমূলক অফার, একটি নতুন পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে, একটি ঘোষণা, অথবা অন্য কোনো ধরনের সামগ্রী যা আপনার শ্রোতাদের কাছে মূল্যবান বা আকর্ষণীয় মনে হবে।

আপনার ইমেল পাঠানঃ এ এবার আপনার ইমেইলের সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে, এটি আপনার গ্রাহকদের পাঠাতে পারেন। বেশিরভাগ ইমেল বিপণন প্ল্যাটফর্ম আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময় বা তারিখে নির্ধারণ করতে হবে, এবং সে সময়ে আপনাকে ইমেইল পাঠাতে হবে।

ফলাফল বিশ্লেষণ করুনঃ আপনার ইমেল পাঠানোর পরে, আপনি তার কর্মক্ষমতা বিশ্লেষণ করা উচিত. এর মধ্যে খোলা হার, কতগুলো গ্রাহক ইমেইল গুলো দেখছে, রূপান্তর হার এবং আরও অনেক কিছুর, তা আপনি বিশ্লেষণ করুন। এই এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ইমেইল মার্কেটিং ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, যাতে আপনি ভবিষ্যতের ইমেলগুলিতে উন্নতি করতে পারেন৷

মনে রাখবেন, সফল ইমেল মার্কেটিংয়ের চাবিকাঠি হলো আপনার গ্রাহকদের মূল্য প্রদান করা, তাদের সময় এবং মনোযোগকে সম্মান করা। অনেক বেশি ইমেল দিয়ে আপনার গ্রাহকদের বিরক্ত করা ঠিক না। এতে আপনার ব্র্যান্ডের খ্যাতি নষ্ট করতে পারে।

ব্যবসায় ইমেইল মার্কেটিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

ইমেল মার্কেটিং বিভিন্ন কারণে ব্যবসার জন্য অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি ইমেইল মার্কেটিং এর সঠিক ব্যবহার করে পণ্যের বিজ্ঞাপন করতে পারেন, তাহলে আপনি অবশ্যই এই থেকে ভাল ফলাফল পেতে পারেন।

ইমেল মার্কেটিং ব্যবসাগুলিকে তাদের গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে দেয়। এটি পণ্য, পরিষেবা, প্রচার, এবং আপডেট সম্পর্কে তথ্য ভাগ করার একটি ব্যক্তিগত এবং সরাসরি উপায়। অন্যান্য বিপণন কৌশলগুলির তুলনায়, ইমেল বিপণন তুলনামূলকভাবে সস্তা। উচ্চ খরচ ছাড়াই আপনি বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেন। ইমেল মার্কেটিং অত্যন্ত পরিমাপযোগ্য।

আপনার ইমেইল কতজন ক্লিক করছে, কতজন আপনার পরিষেবা উপভোগ করছে এবং আরও অনেক কিছু ট্র্যাক করতে পারেন। নিয়মিত, মূল্যবান যোগাযোগ গ্রাহকদের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। তাদের দরকারী তথ্য এবং অফার প্রদান করে, আপনি পুনরাবৃত্তি ব্যবসা এবং গ্রাহকদের কে উত্সাহিত করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি  নতুন উপায়ে

নিয়মিত ইমেল আপনার ব্র্যান্ডকে আপনার গ্রাহকদের মনের অগ্রভাগে রাখতে সাহায্য করতে পারে। এটি ব্র্যান্ড সচেতনতা এবং স্বীকৃতি বাড়াতে পারে।

শেষ পর্যন্ত, বেশিরভাগ ব্যবসার লক্ষ্য হলো বিক্রয় বৃদ্ধি করা। ইমেল মার্কেটিং এর জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে, কারণ এটি আপনাকে আপনার পণ্য বা পরিষেবাগুলিকে সরাসরি আপনার গ্রাহকদের কাছে প্রচার করতে দেয়। ভালোমতো ইমেইল মার্কেটিং করে আপনার পণ্যের গ্রাহক ধরে রাখা সম্ভব।

তাদের নিয়মিত আপডেট এবং অফার পাঠানোর মাধ্যমে, আপনি তাদের আপনার সাথে ব্যবসা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করতে পারেন।

ইমেইল মার্কটিং মন্তব্য

ইমেল বিপণন সব আকারের ব্যবসার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এটি আপনাকে আপনার লক্ষ্য দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে, সম্পর্ক তৈরি করতে, বিক্রয় বাড়াতে এবং আরও অনেক কিছু করতে সহায়তা করতে পারে। যাইহোক, আপনি আপনার গ্রাহকদের মূল্য প্রদান করছেন এবং সমস্ত প্রাসঙ্গিক আইন ও প্রবিধান মেনে চলছেন তা নিশ্চিত করে দায়িত্বের সাথে এবং সম্মানের সাথে এটি ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

ইমেল মার্কেটিং একটি বৃহৎ দর্শকদের কাছে পৌঁছানো এবং পণ্য বা পরিষেবার প্রচারের জন্য অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। এটি ব্যক্তিগতকৃত যোগাযোগের জন্য অনুমতি দেয় এবং বিক্রয় এবং গ্রাহকের আনুগত্য বৃদ্ধি করতে পারে। ইমেল বিপণনের অন্যতম প্রধান দিক হল এটি অনুমতি-ভিত্তিক।

গ্রাহকরা স্বেচ্ছায় তাদের ইমেল ঠিকানা দিয়েছেন, যার অর্থ আপনি যা অফার করবেন তাতে তারা আগ্রহী হতে পারে।