বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

প্রিয় গ্রাহক আপনি নিশ্চয়ই হয়তো বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আগ্রহী। তবে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকে আমরা জানবো মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিকাশ এর এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম। তার সাথে আরো জানবো বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার সুবিধা ও বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে। বিকাশ অ্যাকাউন্ট দিয়ে যেমন আমরা সহজে টাকা লেনদেন করতে পারি। তেমনি কিছু লোক বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

এর জন্য কিছু নিয়ম-কানুন এর প্রয়োজন। সেগুলো নিয়ে আজকে আমাদের এই পোস্ট। এবং আপনারা জেনে রাখা উচিত। যে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলা নিয়ম।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে

আমরা জানি যে কোন ব্যবসার জন্য আমাদের ইনভেস্টমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া কোন ব্যবসা হয় না। তেমনি বিকাশ এজেন্ট হওয়ার জন্য আমাদের কিছু ইনভেস্ট করতে হবে। আমরা বিকাশ এর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করি। তবে ক্যাশ আউট করতে হলে আমাদের বিকাশ এজেন্ট প্রয়োজন হয়।

আরো পড়ুনঃ একাউন্ট খুললেই ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট

এজন্য বিকাশ এজেন্ট এর কাছে নগদ টাকা থাকা প্রয়োজন।যাতে বিকাশ এজেন্ট এর কাছে কাস্টমার এসে তার কাঙ্খিত পরিমাণের টাকা ক্যাশ আউট করতে পারে। এবার আসুন আপনার বিকাশ এজেন্ট এর দোকান বা প্রতিষ্ঠানটি যদি গ্রামগঞ্জের দিকে হয় তাহলে আপনাকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট করতে হবে।

আবার যদি আপনার প্রতিষ্ঠানটি বা দোকানটি শহর, বাজার বা জনসমাগম এলাকায় হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা কিংবা এর চেয়েও বেশি ইনভেস্ট করতে হতে পারে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট হতে চান বা বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট করতে চান তাহলে আপনি তিনটি উপায়ে বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন।
  • অনলাইনের মাধ্যমে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট করতে পারবেন।
  • নিজ এলাকার এসআর এর সাথে যোগাযোগ করে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
  • বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে গিয়েও এজেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট তৈরি করার নিয়ম

আপনি যদি অনলাইনে বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট করতে চান এর জন্য আপনাকে বিকাশ এজেন্ট এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এবং সেখান আপনাকে একটি আবেদন বা ফরম পূরণ করতে হবে। এর জন্য আপনার প্রথমে বিকাশের ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে। বিকাশ এজেন্ট ওয়েবসাইটঃ https://www.bkash.com/business/agent

এরপর জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী ইংরেজিতে আপনার নাম লিখতে হবে। আপনার ট্রেড লাইসেন্স এর নাম্বার দিতে হবে। আপনার একটি একটিভ ফোন নাম্বার দিতে হবে। আপনার প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নাম্বার দিতে হবে। আপনার একটি ইমেইল এড্রেস দিতে হবে। এবার নিজের ক্যাপচারটি পূরণ করে পাশে থাকা জমা দিন বাটনে ক্লিক করতে হবে।

আপনার ফর্মটি ভালোভাবে সাবমিট হলে ওই ফর্মে দেওয়ার নাম্বারে আপনাকে ফোন কল দেওয়া হবে। সে ফোন কলের মাধ্যমে আপনার কাছে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য গ্রহণ করবে যেমনঃ
আপনি কি ব্যবসা করেন, আপনার কয়টি দোকান, আপনার দোকান কোথায়, আপনার দোকান বা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে আর কোন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট এর দোকান আছে কিনা, আপনি কেন বিকাশ এজেন্ট হতে চান ইত্যাদি।

বিকাশ এজেন্ট লোকেশন

বিকাশ এজেন্ট হতে হলে আপনার লোকেশন ভালো হতে হবে। যেমন আপনার এলাকায় বা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর আশেপাশে বিকাশ এ লেনদেন কেমন হয়। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা দোকানটি যদি শহরে হয় বা জনসমাগম আছে এমন জায়গায় হয় তাহলে সহজে আপনাকে খুব সহজেই বিকাশ এজেন্ট দিয়ে দেবে।

আরো পড়ুনঃ Google Opinion Rewards থেকে ইনকাম করার উপায়

সেটি গ্রাম হোক কিংবা শহর। এবং যদি আপনার দোকান গ্রামে হয় এবং সেখানে লোকজনের যাতায়াত কম হয় তবে আপনাকে বিকাশ এজেন্ট নাও দিতে পারে।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট এর জন্য যা যা প্রয়োজন

আপনি যদি একজন বিকাশ এজেন্ট হতে চান তাহলে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নিন বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট এর জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে।
  • আপনার এনআইডি কার্ডের ৪ কপি রঙিন ফটোকপি।
  • পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি ছবি।
  • টিম সার্টিফিকেটের ৪ কপি ফটোকপি।
  • টেড লাইসেন্স এর ফটোকপি ৪ কপি।
  • একটি প্রিপেইড সিম, যাতে কোন বিকাশ একাউন্ট খোলা হয়নি।

লেখক কথা

আজকে আমাদের এই পোস্টে বিকাশ এজেন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করেছি। চাইলে আপনিও বিকাশ এজেন্ট হতে পারেন। এর জন্য উপরের কিছু নীতিমালা গুলো পূরণ করলে আপনি এই ব্যবসা করে মাস শেষে ভালো কিছু এমাউন্ট পেতে পারেন। আপনার দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি এটি একটি ভালো ব্যবসা।

আশা করছি সমস্ত বিষয়গুলো আপনার ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আজকে এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার কাছের লোকজনের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।

নতুনদের জন্য ভিডিও এডিট করার অ্যাপস

নতুনদের জন্য ভিডিও এডিট করার অ্যাপস

প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো নিশ্চয়ই ভিডিও এডিটিং করতে চাচ্ছেন? আপনি যদি নতুন হিসেবে ভিডিও এডিটিং করতে চান মোবাইল দিয়ে তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ আজকে আমরা কয়েকটি মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস নিয়ে আলোচনা করব, যা ব্যবহার করে আপনি সহজেই একটি সাধারণ ভিডিওকে প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এই গুলো ব্যবহার করা খুবই সহজ। আর এই অ্যাপস গুলো প্লেস্টোরে ফ্রিতে ডাউনলোড করতে পারবেন।

নতুনদের জন্য ভিডিও এডিট করার অ্যাপস

আপনি যদি সাধারণভাবে ছোটখাটো ভিডিও বানিয়ে থাকেন ইউটিউব শর্টস বা ফেসবুক এর জন্য, তাহলে এই অ্যাপসগুলো খুবই সাহায্য করবে আপনাকে ভিডিও এডিটিং এর জন্য। নতুনদের জন্য অ্যাপসগুলো ব্যবহার করা খুবই সহজ। চলুন তাহলে শুরু করা যাক। অ্যাপস গুলোর নাম ও এর ফিচার সম্পর্কে। আর পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।

ফ্রি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ভিডিও এডিটিং অ্যাপস এর নাম গুলো দেওয়া হলোঃ=
  • Adobe Premiere Clip
  • Powerdirector
  • Lightroom
  • Magisto – editor & slideshow make
  • Kinemaster pro

প্রথমে রয়েছে Adobe Premiere Clip

এডোবি প্রিমিয়ার ক্লিপ ব্যবহার করে মোবাইলেই ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এবং সব ধরনের মোবাইলেই প্রফেশনাল কোয়ালিটিতে ভিডিও এডিটিং করা যায়। এডোবি প্রিমিয়ার লিভ এ অনেক ধরনের এডিটিং টুলস আছে যা আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রিতেই ব্যবহার করতে পারবেন। সেগুলো হলোঃ Video cutting, trimming, transitions, adding music, filters, effects, photo motion. আরো অনেক ধরনের ফিচার পাবেন এই অ্যাপস এর মধ্যে। এটি আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রিতেই মোবাইল প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন।

তারপরে আছে পাওয়ার ডিরেক্টর Powerdirector

অন্যান্য অ্যাপস গুলোর মতোই এই অ্যাপসেও আপনার বাড়ানো সাধারণ ভিডিও কে প্রফেশনাল মুডে রূপ দিতে পারবে। তবে অন্যান্য এডিটিং অ্যাপস গুলোর চেয়ে এই অ্যাপসে একটু বেশি অপশন পাবেন। যা ভিডিও এডিটিং করতে আরও সাহায্য করবে। এতে আপনারা যে ফিচারগুলো পাবেন সেগুলো হলোঃ ভিডিও এডিটিং, ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ, ভিডিও কাটা জোড়া লাগানো, ফটো দিয়ে ভিডিও বানানো, ভিডিও প্রফেশনাল মুড ইত্যাদি আরও অসংখ্য ফিচারস পাবেন এই অ্যাপসে।

এরপরে আছে লাইটরুম Lightroom

এটি একটি মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হলেও এটা দিয়ে ছবিও এডিট করা যায় এবং ক্যামেরাও আছে যা দিয়ে ছবি তোলা যায়। অন্যান্য অ্যাপস গুলোর মতোই এই অ্যাপসেও ভিডিও এডিটিং এর জন্য অনেকগুলো ভিডিও এডিটিং ফিচারস আছে। এটিও সম্পূর্ণ ফ্রিতে প্লেস্টোরে পেয়ে যাবেন।

এরপরে আছে Magisto – editor & slideshow make

এটি ব্যবহার করে আপনি ইউটিউব বা ফেসবুকের জন্য প্রফেশনাল মোডে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। এটিতে আপনারা এ আই ফাংশন ও পেয়ে যাবেন। যা খুব সহজেই এবং একা একাই আকর্ষণীয় ভিডিও বানিয়ে দিতে পারে এই অ্যাপসটি। এটিও প্লে স্টোরে ফ্রিতেই পেয়ে যাবেন। এই অ্যাপসটি প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করেছে। যা সত্যিই অসাধারণ।

তারপরে আছে Kinemaster pro

অ্যান্ড্রয়েড ভিডিও এডিটিং অ্যাপস হলো কাইনমাস্টার প্রো। এই অ্যাপ্লিকেশনটি দিয়ে আপনি কম্পিউটারের মতো ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন প্রফেশনাল মুডে। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে এটি অনেক শক্তিশালী ও অ্যাডভান্স প্রফেশনাল মোডে ভিডিও এডিটিং করতে সক্ষম। এটাতে আপনি অনেক ধরনের এডভান্স ফিচার পাবেন।

যেগুলো ব্যবহার করে আপনার সাধারণ ভিডিও কে প্রফেশনাল রূপ দিতে পারবে। এই অ্যাপ্লিকেশনটির মধ্যে ভিডিও এডিটিং করার জন্য সব ধরনের ফিচারসই পাবেন। তবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারে একটি সমস্যা হলো ফ্রিতে ভিডিও এডিটিং করলে ভিডিওতে ওয়াটার মার্ক যুক্ত হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট

তবে ওয়াটার মার্ক ছাড়া ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে প্লে স্টোর থেকে অ্যাপসটি কিনে ব্যবহার করতে হবে। গুগলে অনেক ওয়েবসাইটে আপনি এর প্রো ভার্সন কিনতে পারবেন।

লেখক কথা

আজ আমরা নতুনদের জন্য কয়েকটি ভিডিও এডিটিং মোবাইল অ্যাপস নিয়ে আলোচনা করেছি। নতুন অবস্থায় এই অ্যাপস গুলো দিয়ে ভিডিও এডিট করা অনেক হেল্পফুল ও সহজ। আপনি চাইলেও এই অ্যাপস গুলো দিয়ে খুব সহজে সাধারণ ভিডিও কে প্রফেশনাল মোড করতে পারবেন।

এবং অ্যাপসগুলো চালানো খুবই সহজ। উপরের বিষয়গুলো ভালোভাবে পড়লে আপনি সব বুঝতে পারবেন। আর আমাদের এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার কাছের মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়

ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়

প্রিয় গ্রাহক, আপনি হয়তো ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন। কিন্তু সঠিক নিয়ম না জানার কারণে তা করতে পারছেন না। আমরা জানি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসাবে ইনস্টাগ্রাম বেশ জনপ্রিয় বাংলাদেশ ছাড়া। এটি ফেসবুকের মতোই যা ব্যবহারকারীদের ছবি বা ভিডিও পোস্ট করার সুযোগ দেয়। ইনস্টাগ্রামে ও ফেসবুকের মতোই পেজ চালানো যায়।

ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়

বিভিন্ন ধরনের অনেক কাজ আছে যা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে ইনকাম করা যায়। এই পোস্টে আমরা জানব কিভাবে ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম করা যায় এবং তার সহজ উপায়ের বিষয়গুলো। এছাড়াও জানব প্রোডাক্ট বিজ্ঞাপন ও ব্যান্ড স্পন্সার নিয়ে কিভাবে ইনকাম করা যায়।

Instagram থেকে ইনকাম করার উপায়

ইনস্টাগ্রামে ইনকাম করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। যার মধ্যে থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো যা বাংলাদেশ থেকেও এ ধরনের কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন ইন্সটাগ্রাম থেকে। চলুন তাহলে শুরু করা যাকঃ

১. প্রোডাক্ট বা সেবা বিজ্ঞাপন করা

যদি আপনার কোন ব্যবসায় থাকে বা কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তবে ইনস্টাগ্রাম একটি উত্তম মাধ্যম হতে পারে আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন করার জন্য। প্রথমেই আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজে একটি স্পেসিফিক কমার্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

এটি আপনাকে বিভিন্ন পণ্য এবং সেবার তথ্য প্রদান করতে সুবিধা দিবে এবং গ্রাহক বা ক্রেতা আনতে সুবিধা করবে এই ইনস্টাগ্রাম পেজ। পণ্য বা সেবা প্রদর্শন করার জন্য এটি ভাল উপায়। মানুষেরা ইনস্টাগ্রামের মধ্যে সরাসরি ক্রয় করতে পারেন এবং তাদের বিশ্বাসের অন্তর্ভূক্ত হতে পারে আপনার সেই।

২. আফিলিয়েট মার্কেটিং

অন্যের প্রোডাক্ট আপনি যেকোন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারণা করে বিক্রি করে দেওয়ার নামই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি ইনস্টাগ্রামে একটি প্রোডাক্টের প্রচারণার্থে আফিলিয়েট লিংকের ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন পণ্য সংস্থা আপনাকে একটি বিশেষ লিংক দিবে যদি আপনার ভালো ফলোয়ার বা অডিয়েন্স থাকে।
সেই লিংক আপনি আপনার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। যে কেউ যদি আপনার পোস্টের উপর ক্লিক করে ওয়েবসাইটে যায় এবং সেখানে কোন পণ্য কিনে, সেখান থেকে আপনাক আফিলিয়েট কমিশন পাবেন। এই মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারেন।

৩. স্পন্সর পোস্ট

আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজে যখন ভালো ফলোয়ার বা অডিয়েন্স থাকবে তখন কোনো ব্র্যান্ড আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজকে স্পন্সর করতে দিতে পারে বা তাদের পণ্য বা পরিষেবা প্রমোট করতে দিতে পারে। এটি কিছুটা প্রোডাক্ট রিভিউ এর মতো। যা কোন ব্র্যান্ড কোম্পানি আপনাকে আপনার পেইজে তাদের প্রোডাক্ট এর পোস্ট করতে দিবে।

স্পন্সারশিপের বিবরণ পোস্টে আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজে একটি লিংক দিবে, যা গ্রাহকদের পণ্যের ওয়েবসাইটে পৌছাতে পারে। কোন কোন সময় কোন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট আপনাকে প্রমোট করতে হতে পারে। যা তাদের বিক্রয় বৃদ্ধি করার মূল উদ্দেশ্য।

Instagram এ ব্যবসা শুরু করার কিছু টিপস

ইনস্টাগ্রামে ব্যবসা শুরু করতে হলে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করা উচিত:

আপনার প্রোফাইল ব্যানার, প্রোফাইল পিকচার এবং উপস্থিতির বিবরণ সামগ্রিকভাবে আকর্ষণীয় এবং প্রফেশনালভাবে প্রদর্শিত করা উচিত। নিয়মিতভাবে পোস্ট করুন এবং স্টোরিতে আপডেট করুন। মানসিকভাবে আপনার ওয়েবসাইটে পণ্যের সাথে সম্পর্কিত প্রকাশনা করুন ও গ্রাহকদের আকর্ষণ জাগান।

আপনার পোস্টে আকর্ষণীয় ও মজারপূর্ণ ছবি এবং ভিডিও যুক্ত করুন। আপনার পোস্টে হ্যাশট্যাগ যুক্ত করুন যা আপনাকে আরও দর্শক এবং নতুন অনুসন্ধানকারী আনবে। আপনার অনুসরণকারীদেরকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের যোগাযোগ করুন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যান। নিয়মিতভাবে তাদের প্রশ্ন ও মন্তব্যের প্রতিউত্তর দিয়ে কাস্টমার পরিবেশন করুন।

ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে কয়েক ধরনের ইনকাম

ইনস্টাগ্রামে পেজ থেকে ইনকাম পাওয়া যায় এরকম কিছু উপায়ে:

ডায়ারেক্ট সেলিং: আপনি আপনার পোস্টের মাধ্যমে পণ্য সরাসরি অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। যদি কেউ আপনার পোস্টটি দেখে আকর্ষিত হয় এবং ঘরে বসেই পণ্যটি ক্রয় করে, তাহলে আপনি সরাসরি উপার্জন করতে পারেন।

রিভিউ এবং রেটিংআপনাকে আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজে কেউ রিভিউ এবং রেটিং পোস্ট করতে উৎসাহিত করতে পারেন। এটি আপনার ব্র্যান্ডের বিশ্বাস ও বিশ্বস্ততা তৈরি করতে সাহায্য করবে এবং আপনার গ্রাহকদের উত্তরগুলি আনতে সাহায্য করবে।

পোস্টের মাধ্যমে ইনকাম: আপনি যদি স্পন্সর পোস্ট করে বা কোন ব্র্যান্ডের প্রচার করেন, তবে আপনি এই মাধ্যমে আয় করতে পারেন। ব্র্যান্ড আপনার পেজের মাধ্যমে তাদের পরিষেবা বা পণ্যটি প্রচার করবে এবং তারা আপনার পোস্টের বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনাকে কমিশন পরিশোধ করবে।

ইনস্টাগ্রামে স্পন্সার নিয়ে ইনকাম

স্পন্সার একটি অন্যতম উপায় ইনস্টাগ্রামে ইনকাম করার। এটি খুবই জনপ্রিয় এবং প্রফেশনালভাবে প্রদত্ত উপায় হলো এ কাজের পক্ষে এরকম কিছু ধাপ অনুসরণ করা উচিত:

স্পন্সার নিয়ে ইনকাম করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে ইনস্টাগ্রামে একটি ভালো পেজ থাকতে হবে, যাতে অনেক বেশি ফলোয়ার ও অডিয়েন্স থাকে। এরপর আপনি কোন ব্র্যান্ডের স্পন্সারশিপ পেতে পারেন। এরপর ধরুন আপনি একটি স্পন্সরশিপ এর পোস্ট করতে চাচ্ছেন।

আরো পড়ুনঃ HGZY/BDT গেম খেলে আয় করুন লাখ টাকা

পোস্টটি ব্র্যান্ডের জন্য স্পেসিফিক হতে হবে এবং আপনার পোস্টে ভালভাবে উপস্থাপিত হতে হবে।পোস্টটি ব্র্যান্ডের সাথে সম্পর্কিত হতে হবে। আপনার পোস্টে ব্র্যান্ডের পণ্যের এমনভাবে সেবা দেখান যাতে গ্রাহক প্রোডাক্টটি কিনার জন্য উৎসাহিত হয়। আর আপনার প্রতিটি পোস্টকে ভালভাবে প্রচার করতে হবে।

লেখক কথা

ইনস্টাগ্রাম একটি শক্তিশালী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তার সাহায্যে আপনি অনেক ভাবে ইনকাম করতে পারেন। আপনি প্রথমেই আপনার ইনস্টাগ্রাম পেজ তৈরি করুন এবং তাতে ফলোয়ার বা ভালো অডিয়েন্স তৈরি করুন।

তারপর সেই পেজে প্রোডাক্ট বা সেবা প্রচার করুন, সামগ্রিক প্রেজেন্টেশন পরিবর্তন করুন এবং সবসময় গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করুন।যেকোনো উপায়ে, ইনস্টাগ্রাম আপনার অনলাইন ব্যবসার একটি মান তৈরি করুন। এভাবে আপনি ইনস্টাগ্রাম মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া \ ৯টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া \ ৯টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

প্রিয় পাঠক, আপনি কি অনলাইনে ব্যবসা করার চিন্তা করছেন? আপনি কি অনলাইনে বিজনেস করার উপায় বা আইডিয়া খুঁজছেন? যে এই পোস্টটি আপনার জন্য। কারণ আমরা এই পোস্টে অনলাইনে ব্যবসা করার কয়েকটি ইউনিক টপিক বা আইডিয়া নিয়ে কথা বলেছি।

অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া  ৯টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক আইডিয়া রয়েছে, এটি আপনার দক্ষতা, আগ্রহ, এবং লক্ষ্যের উপর নির্ভর করতে পারে। এরপরেও আমি কিছু ব্যবসায়িক আইডিয়া উল্লেখ করছি যা আপনি চিন্তা করে দেখতে পারেনঃ

ই-কমার্স ও অনলাইন শপ      

অনলাইনে আপনি দোকান শুরু করতে পারেন এবং বিভিন্ন পণ্য বা নিজের নিজস্ব উৎপাদন করে বিক্রি করতে পারেন। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে আপনার পণ্যের বিক্রয় বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং বা প্রোডাক্ট রিভিউ

আপনি ফেসবুক পেজে মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট এর রিভিউ করে এবং তাতে সেই প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়েও আপনি ইনকাম করতে পারেন। এটি আপনি যে কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে কিংবা নিজস্ব ওয়েবসাইটে এই প্রোডাক্ট রিভিউ বা এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স সেবা

আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং মাল্টিমিডিয়া সংস্করণের জন্য অনলাইনে সেবা প্রদান করতে পারেন। ওয়েবসাইট ডিজাইন, লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ইত্যাদি তৈরি করে ইনকাম করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি  নতুন উপায়ে

ই-বুক লেখা

আপনি যদি ভালো লিখতে পারেন, তাহলে আপনি e-book লিখে নিজস্ব ওয়েবসাইটে কিংবা অন্যান্য লেখককে ই-বুক লিখে দিয়েও অনলাইনে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম

অনলাইনে শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারেন কিংবা কোন বিশেষ শিক্ষার উপর অনলাইন কোর্স করিও আপনি ভালো ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং পরামর্শ দেওয়া

আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারেন এবং বিভিন্ন কোম্পানিগুলি বা ব্যক্তিবর্গগুলির সাথে সাক্ষাৎকার করতে পারেন।

অনলাইন আপনার স্বাস্থ্য সেবা প্রদান

সুস্থ জীবনযাত্রা, শখ এবং যোগাযোগের জন্য অনলাইন সেবা দিতে পারেন, উদাহরণস্বরূপ, অনলাইন ডায়েটিশিয়ান বা ফিটনেস কোচিং ইত্যাদি বিষয়ে আপনি অনলাইন সেবা দিতে পারেন। এবং সেখান থেকে ভাল ইনকাম পাবেন।

ফ্রিল্যান্সিং পরিষেবা

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফ্রিল্যান্সিং এর ওপর আপনি যদি দক্ষ হন, তবে নিজের দক্ষতা এবং ক্ষমতা উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সিং পরিষেবা প্রদান করতে পারেন, যেমন ব্লগ লেখা, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ ব্লগিং করে আয় করুন ঘরে বসে

হাতের তৈরি পণ্য বিক্রয়

আপনি হাতের বানানো যে কোন পণ্য তৈরি করতে পারেন এবং এটি অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন, যেমন হ্যান্ডমেড, নকশী কাঁথা, ক্রাফট আইটেম, ঘর সাজানোর জন্য কোন পণ্য ইত্যাদি।

লেখক কথা

আমরা উপরে কিছু অনলাইনে ব্যবসা করার কয়েকটি আইডিয়া সম্পর্কে বলেছি। এই ব্যবসার আইডিয়াগুলি আপনার মডেল, আগ্রহ এবং লক্ষ্যের সাথে মিল রেখে এবং আপনি যা বেশি পছন্দ করতে পারেন তা নির্বাচন করতে সাহায্য করতে পারে। এই ব্যবসাগুলো আপনি যেকোন সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিজস্ব ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন কোন বিষয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন কোন বিষয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। দেশের অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত পেশায়। মুক্ত পেশায়ের কারণ হলো এর কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। আপনি ইচ্ছামত সময় কাজ করতে পারবেন শুধু আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে। আজ আমরা এই পোস্টে ফ্রিল্যান্সিং এর যাবতীয় প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে আলোচনা করব।

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন কোন বিষয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ

আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন, নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং, ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের উপর বেশি চাহিদা এবং ফ্রেন্ডসিং কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি। আশা করি এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে ফ্রিল্যান্সিং এর যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন

বর্তমান সময়ে আমরা অনলাইন থেকে সবাই ইনকাম করতে পারি। তবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার কিছু জিনিসের প্রয়োজন হবে? সে জিনিসগুলো দিয়ে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করতে পারবেন। সেগুলো হলো,

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনাকে কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। কারন আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ না হলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে পারবেন না। আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ না হয়ে অনলাইনে কাজের খোঁজ করলে আপনি ভালোমতো কাজ পাবেন না। এবং বড় বড় মার্কেটপ্লেসে এপ্লাই করলেও কোন ফিডব্যাক পাবেন না।

তাই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং যে কোন কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য যেমন দক্ষতা প্রয়োজন তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন হল ধৈর্য।কারণ ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখতে হলে আপনাকে প্রচুর সময় ব্যয় এবং প্রচুর ধৈর্য ধরতে হবে।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রি টাকা ইনকাম করার আপস 

এবং এ বিষয়ে সাকসেস হতে হলে হাতে কয়েক বছর সময় নিয়ে কাজ করতে হবে। কয়েক বছরে এ বিষয়ে ভালোমতো দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আপনি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠবেন।কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ধারণা, ফ্রিল্যান্সিং শেখার পূর্বে আপনাকে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সাধারণ ধারণা শিখতে হবে। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং কাজ ইন্টারনেট ভিত্তিক।

বিভিন্ন কাজের জন্য বাইরের সাথে কথা বলা ফাইল লেনদেন ইত্যাদির জন্য ইন্টারনেটের প্রয়োজন। তাই আপনার ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের সব সময় ইন্টারনেট থাকে এমন ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়াও এই কাজের উপর পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে, শেখার প্রবল ইচ্ছা থাকতে হবে, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার একাউন্ট থাকতে হবে এবং ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষ হতে হবে।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য নতুনদের কিছু প্রশ্ন লেগেই থাকে যেমন, ফ্রিল্যান্সিং করতে কি কি লাগবে, কোন বিষয়ে শিখব, কোন বিষয়ে মার্কেটপ্লেসের চাহিদা বেশি, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রতিদিন বেরিয়ে চলেছে নতুনদের সংখ্যা। কেউ দক্ষতা অনুযায়ী মার্কেটপ্লেসে যারা করে নিচ্ছে।

আবার নতুনরা দক্ষতা ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং এ প্রবেশ করে ঝরে পড়ছে। প্রাথমিকভাবে নতুনরা যে বিষয়ে খেয়াল রাখবে সেগুলো হলোঃ কম্পিউটার বেসিক নলেজ। সঠিক ইন্টারনেট ব্যবহার। পছন্দের যে কোন একটি সেক্টর। ইংরেজিতে দক্ষতা। একটি ভালো গাইডলাইন বা কোর্স করা। ধৈর্য ধরে প্র্যাকটিস করা।

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং কাজের ভিতর অনেকগুলো সেক্টর আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজতম সেক্টর হচ্ছে ডাটা এন্টি। এটি আপনি খুব সহজেই শিখে নিয়ে কাজ করতে পারবেন। তবে বর্তমান সময়ে ডাটা এন্ট্রির ভ্যালু অনেক কমে গেছে। এরপরে আছে ডিজিটাল মার্কেটিং।

মার্কেটিং এর ভিতরেও ও অনেকগুলো ভাগ আছে। যেমন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট(SMM), সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশান(SEO), ব্লগিং, এন্ড ক্যাম্পিং ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে যে কোন একটিতে ভালোমতো দক্ষতা অর্জন করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভালো কিছু করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো

ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রথমে যে সমস্যায় আমরা করি সেটি হল ল্যাপটপ বা পিসি নিয়ে। সাধারণত আউটসোর্সিং কাজ সাধারণ ল্যাপটপেই চলবে। যেমন ডাটা এন্ট্রি ব্লগিং এসইউ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। ন্যূনতম 4gb রেম প্রয়োজন।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিতেই মোবাইলে ফ্রিলান্সিং শিখুন।

তবে আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন কিংবা ভিডিও এডিটিং এর জন্য ল্যাপটপ নেন তাহলে এর জন্য ভালো কনফিগারেশন দরকার। তবে আমার মতে Dell XPS 15 বেস্ট ল্যাপটপ। এ দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সব ধরনের কাজ করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। এখানে অনেক ধরনের সেক্টরে অনেক অনেক কাজ পাওয়া যায়। আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং থেকে ইনকাম করা আপনার জন্য খুবই সহজ। ফ্রিল্যান্সিং জগতে অনেকগুলো সেক্টর আছে যেমনঃ

  • ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং, এড ক্যাম্পিং, এসইও, ব্লগিং,
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, গুগল এন্ড ফেসবুক এড।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন।
  • ওয়েব ডিজাইন, কোডিং।
  • ভিডিও এডিটিং, 3D ভিডিও, অ্যানিমেশন ভিডিও, ছবি এডিটিং।

লেখক কথা

ফ্রিল্যান্সিং একটি অনেক বড় সেক্টর এবং মুক্ত পেশা। এই সেক্টরে কাজ অনেক কাজ পাওয়া যাবে যদি ভালো কোন দক্ষতা থাকে। তবে দিন দিন অনেকেই এর সেক্টরের প্রবেশ করছে কোন দক্ষতা ছাড়াই। দক্ষতা ছাড়াও প্রবেশ করে অনেকেই ঝরে পড়ছে সেক্টর থেকে। তাই আগে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং কে পেশার হিসেবে নিতে পারেন।

রাবিতে সেমিস্টার প্রথার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর গণজোয়ার

রাবিতে সেমিস্টার প্রথার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর গণজোয়ার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার প্রথা বাতিলের জন্য আওয়াজ তুলেছেন -  আজ ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ রোজঃ বুধবার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আনুমানিক বেলা ১১ঃ০০ টার সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে থেকে এই সেমিস্টার প্রথার বিরুদ্ধে গণ মিছিল করেন। 

রাবিতে সেমিস্টার প্রথার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর গণজোয়ার

এতে শিক্ষার্থীরা জানায় যে, সেমিস্টার ভিত্তিক পরীক্ষা হওয়ার চেয়ে বাৎসরিক ভাবে পরীক্ষা হওয়া তাদের জন্য বেশ সুবিধা জনক ও যুক্তিযুক্ত। বেশ কিছু শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সেমিস্টার ভিত্তিক পরীক্ষা শুধুমাত্র সিজিপিএ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কিন্তু বাস্তবিক অর্থে শিক্ষার্থীদের নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার প্রবণতা নষ্ট করে এবং বুদ্ধিবৃত্তি বিকাশে বাধা প্রদান করে। তাই তারা সেমিস্টার পদ্ধতির পরীক্ষার এই অস্বস্তিকর বিষয় থেকে মুক্তি পেতে চায়। 

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি  নতুন উপায়ে

সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা আরও জানান যে, গভীরভাবে জ্ঞান অর্জনের জন্য বা কোন একটি বিষয়ে বিস্তর ভাবে জানতে ও গবেষণা করার মত সময় সেমিস্টার পদ্ধতিতে পাওয়া যায় না। তাই সেমিস্টার ভিত্তিক এই ব্যবস্থাকে চান না শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন বাৎসরিক ভাবে পরীক্ষা ও বাৎসরিক শিক্ষা ব্যাবস্থা আমাদের যোগ্য করে তুলতে সাহায্য করবে। কিন্তু সেমিস্টার প্রথার কারনে আমরা সত্যিকারের জ্ঞান সাধনা থেকে অনেক দূরে এবং এই ব্যাবস্থা কারনে আমরা অনেক চাপের মুখে থাকি এবং নিজেদের মেধাকে বিকশিত করতে অসুবিধা হয় যার কারনে আমরা এই সেমিস্টার প্রথা বা এই ধরনের শিক্ষা ব্যাবস্থা চাই না। এভাবেই আওয়াজ তোলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

সেমিস্টার কে না বলতে শিক্ষার্থীদের এই গণ মিছিলে শিক্ষার্থীদের হাতে বেশ কিছু লিফলেট দেখা যায়। যেখানে বেশ কিছু স্লোগান উল্লেখযোগ্যঃ 

  • আইন অনুষদে - সেমিস্টার ইয়ার  
  • গভীর জ্ঞান গবেষণা, সেমিস্টারে মিলবে না 
  • সেমিষ্টারে সিজি হালি, কিন্তু আমার মাথা খালি
  • সেমিস্টারে নেই স্বস্তি, বার্ষিকতায় মুক্তি 

আরো পড়ুনঃ ব্লগিং করে আয় করুন ঘরে বসে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও এডমিশন কেন্দ্রিক তথ্য পেতে আমাদের পেজ ও ওয়েব সাইটে যুক্ত হন।
ফেসবুক পেজে যুক্ত হতে ক্লিক করুন 
আমাদের ওয়েব সাইটে আরো তথ্য পেলে ক্লিক করুন 

প্রতিবেদকঃ 

নাহিদ হাসান 
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

প্রিয় পাঠক, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার কথা ভাবছেন? আপনি কি মোবাইল দিয়ে ভালোভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখে ইনকাম করতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। অনেকেই মনে করে মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায়। আবার অনেকেই মনে করে মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করা যায়? এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর হলো হ্যাঁ।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

সত্যি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে ঘরে বসেই আপনি ভালো কিছু ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে ভালোমতো কোন একটি বিষয়ের উপর স্কিল বা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। আপনি অনেক জায়গায় ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পারবেন। অনলাইনে কিংবা অফলাইনে।

তবে আজ আমরা কথা বলব কিছু ওয়েবসাইট, অনলাইন প্লাটফর্ম, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব ভিডিও ও কয়েকটি youtube চ্যানেল। যা থেকে আপনি ফ্রিতেই ফ্রিল্যান্সিং এর কোন একটি বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতা অর্জন করে মোবাইল দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। তো চলুন তাহলে শুরু করা যাক। 

ফ্রিল্যান্সিং শেখার এবং এটি কাজ করার জন্য মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করতে একাধিক উপায় রয়েছে।

ওয়েবসাইট ও এপ্লিকেশন ব্যবহার করুন

কিছু ওয়েবসাইট ও মোবাইল এপ্লিকেশন আছে যা ফ্রিল্যান্সিং শেখার সুযোগ সৃষ্টি করে। Upwork, Freelancer, Fiverr, ইত্যাদি হলেও এগুলি দ্বারা নিজেকে অভ্যন্তরিনভাবে প্রস্তুত করতে পারবে। এছাড়াও আপনি মোবাইল ডিভাইসে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য কিছু প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিতেই মোবাইলে ফ্রিলান্সিং শিখুন

এই প্লাটফর্ম গুলোতে আপনি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকেই ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে পারবেন, যে কোন স্থান থেকে।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনি যেকোনো ধরণের প্রশ্নের উত্তর পাবেন এবং অন্যদের সাথে অভিজ্ঞতা ভাগ করতে পারেন। এটি আপনার বৃদ্ধির জন্য উপকারী হতে পারে এবং সম্প্রদায় বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করতে সাহায্য করতে পারে।

আইটি ব্লগ, ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখুন

বিভিন্ন ব্লগ এবং ইউটিউব চ্যানেলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সম্পর্কে এবং নতুন দক্ষতা শেখার উপায়ের ভিডিও টিউটোরিয়াল পেতে পারেন। আইটি ব্লগ এবং ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে অনেক কিছু শিখতে পারবেন, যেগুলি ফ্রিল্যান্সিং শেখা করতে উপকারী হতে পারে।

এখানে কিছু আমার দেখা কিছু ভালো অনলাইন ব্লগ ও ইউটিউব চ্যানেল সাজেস্ট করলাম। যেগুলো থেকে আপনি ভিডিও দেখে এবং ব্লক করে ভালোমতো প্র্যাকটিস করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারবেন। সেগুলো হলোঃ

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি  নতুন উপায়ে

Freelancer's Journey

এটি একটি ফ্রিল্যান্সিং ব্লগ যেখানে একজন ফ্রিল্যান্সার তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা শেয়ার করেন। আপনি চাইলে এসে ব্লক গুলো করে অনেক কিছু বুঝতে পারবেন।

Upwork Blog

আমরা শুধু জানি Upwork একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। তবে Upwork হলো একটি পরিচিত ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে তাদের ব্লগে প্রতিদিনের ফ্রিল্যান্সিং সংবাদ, টিপস, এবং ভিডিও টিউটোরিয়াল পাবলিশ করে। আপনি যেখান থেকেও কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। এবং ফ্রিল্যান্সিং কে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এখান থেকে।

Toptal Blog

Toptal একটি উচ্চ-পরিস্থিতি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম এবং তাদের ব্লগে তাদের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য উপকারী উপায় এবং উপায়ের কিছু সাধারণ প্রবন্ধ পাওয়া যায়। আপনি চাইলে তাদের সাইডেও ভিজিট করে দেখতে পারেন।

ইউটিউব চ্যানেল

Traversy Media এটি একটি পরিচিত ইউটিউব চ্যানেল যেখানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিং, এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ভিডিও টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামিং সম্পর্কে কিছু জানতে চান বা এই নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে এই ইউটিউব চ্যানেলটি দেখতে পারেন।

The Net Ninja এটি একটি বিশাল সংখ্যক টিউটোরিয়াল সম্পর্কে সামগ্রিক ইউটিউব চ্যানেল, যা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গেইম ডেভেলপমেন্ট এবং অন্যান্য বিষয়ে বিভিন্ন ধরণের টিউটোরিয়াল প্রদান করে। আপনার যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা গেম ডেভেলপমেন্ট এর আগ্রহ থাকে বা এই বিষয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন তাহলে এই ইউটিউব চ্যানেলটি আপনি দেখতে পারেন।

এই ভিডিও গুলি আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন দিকের জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করতে পারে। ভিডিও টিউটোরিয়ালগুলি দেখে মোবাইল ডিভাইস থেকেও প্রোগ্রামিং এবং ডিজাইন সম্পর্কে শেখা সম্ভব।

অনলাইন কমিউনিটি যোগ দিন

ফ্রিল্যান্সিং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে আপনি একটি অনলাইন কমিউনিটি যোগ দিতে পারেন, যেখানে আপনি অন্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং নতুন প্রকল্পে জড়িত হতে পারেন। কিন্তু আপনি এটিও মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং শেখা বা ফ্রিল্যান্সিং অনুসারী যোগ দেওয়া অনেক সময় সাপেক্ষ, অনেক পরিশ্রম ও অনেক ধৈর্যের কাজ। কিন্তু নিজেকে প্রবৃদ্ধি করার অনেক সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে এই থেকে।
বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম-

বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম-

প্রিয় পাঠক, আপনি কি বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলার কথা ভাবছেন? আপনি কি জানতে চাচ্ছেন বিদেশে বসেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে? তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজ আমরা এই পোস্টে জানবো বিদেশ এ বসেই বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম। আপনি যদি বিদেশে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারেন, তাহলে দেশি টাকা পাঠানোর জন্য কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না। 

বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি খুব সহজেই বিদেশ থেকে দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন মুহূর্তের মধ্যে। বিকাশের নতুন আপডেট এ এখন এর সুবিধা শুধু বাংলাদেশী নয়, বিদেশেও এর সুবিধা পাওয়া যায়। তবে বিদেশে খুব অল্প পরিমাণে এর সেবা চালু হয়েছে। যেমন সেন্ড মানি করে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। 

এছাড়াও আপনি মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন।আপনি বিদেশে যেকোনো রেমিটেন্স চ্যানেল থেকে টাকা নিতে পারবেন আপনার বিকাশ একাউন্ট। বিস্তারিত জানতে নিচের পোস্টগুলো পড়ুন।

বিদেশে বিকাশ একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন হয়

আমরা অনেকে মনে করে থাকি বিদেশে বিকাশ একাউন্ট খোলা অনেক ঝামেলা। বা বিদেশে বিকাশ একাউন্ট খুলতে অনেক কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। তবে এখন আর নয়। বিকাশে নতুন আপডেট আসার পর, বিদেশে বিদেশ একাউন্ট খুলতে মাত্র কয়েকটি কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। সেগুলো হলোঃ

  • আপনি যে দেশে আছেন সেই দেশের একটি সচল মোবাইল নাম্বার।
  • আপনার পাসপোর্ট।
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি বা জাতীয় পরিচয় পত্র।

আরো পড়ুনঃ একাউন্ট খুললেই ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট

এই কয়েকটি জিনিস দিয়ে আপনি সহজে বিদেশে বসে যে কোন স্থান থেকে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিদেশ থেকে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য আপনার একটি মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন হবে। প্রথমে আপনাকে প্লে স্টোর থেকে একটি বিকাশ অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে হবে। এরপর অ্যাপটিতে ঢুকে লগইন বা রেজিস্ট্রেশন অপসনে ক্লিক করতে হবে। এবার আপনার দেশ সিলেট করতে হবে যে দেশে আপনি আছেন।

এরপর আপনার হাতে থাকা বিদেশি নাম্বারটি দিন। এবার সেই নাম্বারে একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে সেটি বসিয়ে একাউন্টে ভেরিফাই করুন। এবার কিছু শর্তাবলী দিবে যেগুলো আপনি পড়ে নিচে বক্সে টিকমার করে দিবেন। এবার প্রয়োজন হবে আপনার পাসপোর্ট এর। আপনার দেশ ত্যাগর প্রমাণ হিসেবে বিদেশ আগমনের স্ট্যাম্পের ছবি আপলোড করুন।

এরপর আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি তুলুন দুইপাশের দুইটি। জাতীয় পরিচয় এর ছবি আপলোড দেওয়ার পর অটোমেটিক কিছু তথ্য দেখানো হবে যেগুলো আপনার পরিচয় পত্রে রয়েছে। এই তথ্যগুলো আপনি ভালোমতো যাচাই করে নিবেন। এরপর কিছু সাধারন তথ্য দিন। যেমনঃ আপনি কি করেন, আপনার মাসিক আয় কত, এমনই কিছু তথ্য।

সব শেষে আপনাকে আপনার সেলফি তুলে ফেস ভেরিফাই করতে হবে। ফ্রেস ভেরিফাই করার পর সাবমিট করুন। তথ্য সাবমিট হয়ে গেলে আপনার একাউন্টের একটি লগইন প্রিন্ট দিন। ব্যাস কাজ শেষ। এবার এই তিনটি দিয়ে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট লগইন করতে পারবেন এবং ব্যবহার করতে পারবেন।

বিকাশ কোন কোন দেশে ব্যবহার করা যাবে এবং এর সুবিধা কি কি

বিকাশ একটি বাংলাদেশি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। তবে বিকাশ এর নতুন আপডেট অনুযায়ী এখন বিদেশেও বিকাশ ব্যবহার করা যাবে। এ কথা শুনে আপনাদের মনে একটি প্রশ্ন যে, কোন কোন দেশে থেকে বিকাশ ব্যবহার করা যাবে। বিকাশ আপডেটে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১২ টি দেশ থেকে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে।

তবে সুবিধার দিক দিয়ে বিদেশে বিকাশ এভেলেবল নয়। এর জন্য হাতে গোনা কয়েকটি সুবিধা পেতে পারে বিদেশ সে বিকাশ ব্যবহারকারী। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, সেন্ড মানি। আপনি বিদেশ আপনার প্রিয়জনের নাম্বারে সরাসরি সেন্ড মানি করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি  নতুন উপায়ে

এছাড়াও মোবাইল রিচার্জ ও রেমিটেন্স এর সুবিধা থাকছে। এবার তাহলে জানা যাক বিশ্বের ১২টি দেশের নাম, যে দেশ থেকে আপনি এই সুবিধাগুলো পাবেন।
  • যুক্তরাজ্য,
  • সৌদি আরব
  • সংযুক্ত আরব আমিরাত
  • সিঙ্গাপুর
  • দক্ষিণ কোরিয়া
  • মালয়েশিয়া
  • দক্ষিণ আফ্রিকা
  • কুয়েত
  • ইতালি
  • কাতার
  • ওমান
  • বাহরাইন

লেখক কথা

বিকাশ একটি বাংলাদেশ সিম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। যেটি ২০১১ সাল এ যাত্রা শুরু করে এবং ২০১৩ সালে এর এক কোটি গ্রাহক নিবন্ধিত হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত বিকাশ জনসাধারণের মধ্যে সেবা প্রদান করে আসছে। তবে আজ থেকে কয়েক বছর আগে বিকাশের অনেক ধরনের ফিচার না থাকলেও বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের ফিচার এবং সুবিধা পাওয়া যায় বিকাশে।

ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পেরিয়ে বিশ্বের ১২ টি দেশ এ জায়গা করে নিয়েছে এ বিকাশ। তবে দেশগুলোতে বাংলাদেশের তুলনায় তেমন সুবিধা পাওয়া না গেলেও, আপনি ওই দেশ থেকে বাংলাদেশে সরাসরি সেন্ড মানি রিচার্জ এবং রেমিটেন্স পাঠাতে পারেন। আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি ভালোভাবে পড়ে থাকেন,

তাহলে জানতে পারবেন বিদেশ থেকে কিভাবে বিকাশ একাউন্ট খুলতে হয় এবং কোন কোন দেশে এর সুবিধা চালু আছে। তাদের এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলে আপনার কাছের মানুষদের সাথে কিংবা প্রবাসী ভাই-বোনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

   ধন্যবাদ।


ইমেইল মার্কেটিং কি-ইমেইল কিভাবে কাজ করে

ইমেইল মার্কেটিং কি-ইমেইল কিভাবে কাজ করে

প্রিয় গ্রাহক, আপনি কি ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? জানতে চাচ্ছেন ইমেইল মার্কেটিং ব্যবহার করে কিভাবে ব্যবসার উন্নতি করা যায়? ইমেইল মার্কেটিং ব্যবসায় কতটুকু সহায়ক হতে পারে সে সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। ইমেল মার্কেটিং একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল, যা পণ্য বা পরিষেবার প্রচারের জন্য ইমেল ব্যবহার করা হয়। এটি গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করার একটি সরাসরি উপায়।

ইমেইল মার্কেটিং কি-ইমেইল কিভাবে কাজ করে

ব্যবসাগুলি গ্রাহকদের কাছ থেকে ইমেল ঠিকানা সংগ্রহ করে এবং তাদের প্রচারমূলক বার্তা বা তাদের পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে আপডেট পাঠায়। লক্ষ্য হলো গ্রাহকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা, ব্যবসার পুনরাবৃত্তিকে উৎসাহিত করা এবং শেষ পর্যন্ত বিক্রয় চালনা করা। ইমেল মার্কেটিং গ্রাহকের আচরণ, পছন্দ, বা জনসংখ্যার তথ্যের উপর ভিত্তি করে ব্যক্তিগতকৃত হতে পারে। এই ব্যক্তিগতকরণ মার্কেটিং বার্তার কার্যকারিতা বাড়াতে পারে।

ইমেইল কিভাবে কাজ করে

একটি ইমেল তালিকা তৈরি করুনঃ ইমেল মার্কেটিং প্রথম ধাপ হলো, গ্রাহকদের কাছ থেকে ইমেল ঠিকানা সংগ্রহ করা। এটি বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে করা যেতে পারে, যেমন আপনার ওয়েবসাইটে সাইন-আপ ফর্ম, সোশ্যাল মিডিয়া, ইন-স্টোর সাইন-আপ বা ইভেন্টের মাধ্যমে ইত্যাদি।

আপনার গ্রাহকদের ভাগ করুনঃ আপনার ইমেল ঠিকানাগুলির একটি তালিকা হয়ে গেলে, আপনাকে আপনার গ্রাহকদের ভাগ করতে হবে। এর অর্থ হলো আপনার গ্রাহকদের কে তাদের আগ্রহ, আচরণ বা জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন গ্রুপে ইনভাইট করা। উদাহরণস্বরূপ, আপনার একটি রেস্টুরেন্ট আছে অথবা কোন মোদি সব আছে। সেখানে আপনি আপনার গ্রাহকদের কে বিভিন্নভাবে ইনভাইট করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক মার্কেটিং কি ? ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করে

আকর্ষণীয় বিষয় তৈরি করুনঃ পরবর্তী ধাপ হলো আপনার ইমেলের জন্য আকর্ষক সামগ্রী তৈরি করা। এটি হতে পারে একটি নিউজলেটার, প্রচারমূলক অফার, একটি নতুন পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে, একটি ঘোষণা, অথবা অন্য কোনো ধরনের সামগ্রী যা আপনার শ্রোতাদের কাছে মূল্যবান বা আকর্ষণীয় মনে হবে।

আপনার ইমেল পাঠানঃ এ এবার আপনার ইমেইলের সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে, এটি আপনার গ্রাহকদের পাঠাতে পারেন। বেশিরভাগ ইমেল বিপণন প্ল্যাটফর্ম আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময় বা তারিখে নির্ধারণ করতে হবে, এবং সে সময়ে আপনাকে ইমেইল পাঠাতে হবে।

ফলাফল বিশ্লেষণ করুনঃ আপনার ইমেল পাঠানোর পরে, আপনি তার কর্মক্ষমতা বিশ্লেষণ করা উচিত. এর মধ্যে খোলা হার, কতগুলো গ্রাহক ইমেইল গুলো দেখছে, রূপান্তর হার এবং আরও অনেক কিছুর, তা আপনি বিশ্লেষণ করুন। এই এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ইমেইল মার্কেটিং ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, যাতে আপনি ভবিষ্যতের ইমেলগুলিতে উন্নতি করতে পারেন৷

মনে রাখবেন, সফল ইমেল মার্কেটিংয়ের চাবিকাঠি হলো আপনার গ্রাহকদের মূল্য প্রদান করা, তাদের সময় এবং মনোযোগকে সম্মান করা। অনেক বেশি ইমেল দিয়ে আপনার গ্রাহকদের বিরক্ত করা ঠিক না। এতে আপনার ব্র্যান্ডের খ্যাতি নষ্ট করতে পারে।

ব্যবসায় ইমেইল মার্কেটিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

ইমেল মার্কেটিং বিভিন্ন কারণে ব্যবসার জন্য অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি ইমেইল মার্কেটিং এর সঠিক ব্যবহার করে পণ্যের বিজ্ঞাপন করতে পারেন, তাহলে আপনি অবশ্যই এই থেকে ভাল ফলাফল পেতে পারেন।

ইমেল মার্কেটিং ব্যবসাগুলিকে তাদের গ্রাহকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে দেয়। এটি পণ্য, পরিষেবা, প্রচার, এবং আপডেট সম্পর্কে তথ্য ভাগ করার একটি ব্যক্তিগত এবং সরাসরি উপায়। অন্যান্য বিপণন কৌশলগুলির তুলনায়, ইমেল বিপণন তুলনামূলকভাবে সস্তা। উচ্চ খরচ ছাড়াই আপনি বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেন। ইমেল মার্কেটিং অত্যন্ত পরিমাপযোগ্য।

আপনার ইমেইল কতজন ক্লিক করছে, কতজন আপনার পরিষেবা উপভোগ করছে এবং আরও অনেক কিছু ট্র্যাক করতে পারেন। নিয়মিত, মূল্যবান যোগাযোগ গ্রাহকদের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। তাদের দরকারী তথ্য এবং অফার প্রদান করে, আপনি পুনরাবৃত্তি ব্যবসা এবং গ্রাহকদের কে উত্সাহিত করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি  নতুন উপায়ে

নিয়মিত ইমেল আপনার ব্র্যান্ডকে আপনার গ্রাহকদের মনের অগ্রভাগে রাখতে সাহায্য করতে পারে। এটি ব্র্যান্ড সচেতনতা এবং স্বীকৃতি বাড়াতে পারে।

শেষ পর্যন্ত, বেশিরভাগ ব্যবসার লক্ষ্য হলো বিক্রয় বৃদ্ধি করা। ইমেল মার্কেটিং এর জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে, কারণ এটি আপনাকে আপনার পণ্য বা পরিষেবাগুলিকে সরাসরি আপনার গ্রাহকদের কাছে প্রচার করতে দেয়। ভালোমতো ইমেইল মার্কেটিং করে আপনার পণ্যের গ্রাহক ধরে রাখা সম্ভব।

তাদের নিয়মিত আপডেট এবং অফার পাঠানোর মাধ্যমে, আপনি তাদের আপনার সাথে ব্যবসা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করতে পারেন।

ইমেইল মার্কটিং মন্তব্য

ইমেল বিপণন সব আকারের ব্যবসার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এটি আপনাকে আপনার লক্ষ্য দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে, সম্পর্ক তৈরি করতে, বিক্রয় বাড়াতে এবং আরও অনেক কিছু করতে সহায়তা করতে পারে। যাইহোক, আপনি আপনার গ্রাহকদের মূল্য প্রদান করছেন এবং সমস্ত প্রাসঙ্গিক আইন ও প্রবিধান মেনে চলছেন তা নিশ্চিত করে দায়িত্বের সাথে এবং সম্মানের সাথে এটি ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

ইমেল মার্কেটিং একটি বৃহৎ দর্শকদের কাছে পৌঁছানো এবং পণ্য বা পরিষেবার প্রচারের জন্য অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। এটি ব্যক্তিগতকৃত যোগাযোগের জন্য অনুমতি দেয় এবং বিক্রয় এবং গ্রাহকের আনুগত্য বৃদ্ধি করতে পারে। ইমেল বিপণনের অন্যতম প্রধান দিক হল এটি অনুমতি-ভিত্তিক।

গ্রাহকরা স্বেচ্ছায় তাদের ইমেল ঠিকানা দিয়েছেন, যার অর্থ আপনি যা অফার করবেন তাতে তারা আগ্রহী হতে পারে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি-ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যতে গুরুত্ব কেমন

ডিজিটাল মার্কেটিং কি-ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যতে গুরুত্ব কেমন

প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? কিংবা আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ গুরুত্ব কেমন তা আপনার জানা দরকার। এসব বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনা করব এ পোস্টে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং কত বড় এবং এর কতগুলো ধাপ রয়েছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি-ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যতে গুরুত্ব কেমন

এর সাথে আরও জানতে পারবেন যে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব কেমন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের এই পোস্ট।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে পণ্য বা পরিষেবার প্রচারের জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং ব্যবহার বোঝায়। এতে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO), বিষয়বস্তু বিপণন, সামাজিক মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেল মার্কেটিং, এবং প্রতি-ক্লিক বিজ্ঞাপন সহ বিভিন্ন কৌশল জড়িত। ডিজিটাল মার্কেটিং লক্ষ্য হলো অনলাইনে গ্রাহকদের কাছে পণ্য বা পরিষেবা পৌঁছানো এবং তাদের সাথে যুক্ত হওয়া, যার উদ্দেশ্য বিক্রয় চালানো।

আরো পড়ুনঃ একাউন্ট খুললেই ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট

এটি আধুনিক ব্যবসায়িক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ আরও বেশি সংখ্যক ভোক্তা দিন দিন ইন্টারনেটের দিকে ঝুঁকছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কয়টি ধাপ আছে?

ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অনেক বড় সেক্টর। ডিজিটাল মার্কেটিংকে কয়েকটি ধাপ বা ভাগে করা যেতে পারে।

আপনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ এটি যেকোনো পণ্য কৌশলের প্রথম ধাপ। আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচেষ্টার মাধ্যমে আপনি কী অর্জন করতে চান তা আপনাকে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। এটি ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি, ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক চালনা, লিড তৈরি বা বিক্রয় বৃদ্ধি, ইত্যাদি করতে পারে।

আপনার লক্ষ্য চিহ্নিত করুনঃ কার্যকর বিপণন কৌশল তৈরি করার জন্য আপনার গ্রাহকরা কারা তা বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য, আগ্রহ, আচরণ এবং চাহিদার পয়েন্টগুলি সনাক্ত করতে হবে।

কীওয়ার্ড রিসার্চঃ আপনার লক্ষ্য সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের দৃশ্যমানতা উন্নত করা হলে, আপনাকে কীওয়ার্ড গবেষণা পরিচালনা করতে হবে। এতে আপনার মতো পণ্য বা পরিষেবাগুলি অনুসন্ধান করার সময় আপনার টার্গেট শ্রোতা পর্যন্ত পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।

একটি বিষয়বস্তু তৈরি করুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়বস্তু রাজা। আপনাকে মূল্যবান, প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষক বিষয়বস্তু তৈরি করতে হবে যা আপনার লক্ষ্য দর্শকদের চাহিদা পূরণ করে। এটি হতে পারে ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইত্যাদি।

ওয়েবসাইট অপ্টিমাইজ করাঃ আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী এবং সার্চ ইঞ্জিন উভয়ের জন্য অপ্টিমাইজ করা উচিত। এর মানে নেভিগেট করা সহজ, দ্রুত লোড করা এবং মোবাইল-ফ্রেন্ডলি হওয়া। এটি আপনার চিহ্নিত কীওয়ার্ডগুলির জন্যও অপ্টিমাইজ করা উচিত।

সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট করুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া আপনার শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর এবং তাদের সাথে জড়িত হওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। যেকোন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন, এবং পণ্যের ধরন অনুযায়ী পোস্ট করতে হবে এবং কখন পোস্ট করতে হবে তার জন্য আপনাকে একটি রুটিন তৈরি করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি  নতুন উপায়ে

ইমেল মার্কেটিংঃ ইমেল মার্কেটিং হতে পারে আপনার শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর এবং তাদের সাথে যুক্ত হওয়ার একটি অত্যন্ত কার্যকর উপায়। আপনাকে একটি ইমেল তালিকা তৈরি করতে হবে এবং তারপরে আপনার গ্রাহকদের নিয়মিত অফার বা পণ্যের তালিকা ইমেল করতে পারেন।

মনিটরিং এবং বিশ্লেষণঃ একবার আপনার ডিজিটাল বিপণন কৌশলগুলি ঠিক হয়ে গেলে, আপনাকে তাদের কর্মক্ষমতা গুলো নিয়মিত নিরীক্ষণ করতে হবে এবং ফলাফলগুলি বিশ্লেষণ করতে হবে। এটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে কোনটি কাজ করছে এবং কোনটি কাজ করছে না, যাতে আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী সামঞ্জস্য যোগার করতে পারেন।

মনে রাখবেন, এই পদক্ষেপগুলি সর্বদা রৈখিক হয় না এবং আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং সংস্থানগুলির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কতটা গুরুত্বপূর্ণে

ডিজিটাল মার্কেটিং আজকাল অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ছোট বড় বিভিন্ন ব্যবসার জন্য। দৈনন্দিন জীবনে ব্যবসা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এর বিভিন্ন কারণগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ

গ্লোবাল রিচঃ ইন্টারনেট ব্যবসার জন্য সারা বিশ্বের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব করেছে। এর মানে হলো যে একটি ছোট ব্যবসা বিশ্বব্যাপী বড় কোম্পানিগুলির সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে। ডিজিটাল বিপণন কৌশলগুলি প্রায়শই প্রচলিত বিপণন পদ্ধতির চেয়ে বেশি সাশ্রয়ী হয়। উদাহরণস্বরূপ, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং ইমেল মার্কেটিং বিনামূল্যে বা কম খরচে করা যেতে পারে।

পরিমাপযোগ্য ফলাফলঃ ডিজিটাল বিপণনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি ব্যবসাগুলিকে তাদের প্রচারাভিযানের ফলাফল ট্র্যাক এবং পরিমাপ করতে পারে। এর অর্থ হলো আপনি দেখতে পারবেন আপনার বিপণন প্রচেষ্টা কতটা কার্যকর এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারেন।

গ্রাহকের সম্পৃক্ততাঃ ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসার জন্য তাদের গ্রাহকদের সাথে রিয়েল-টাইমে যুক্ত হওয়ার সুযোগ প্রদান করে। এটি শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং গ্রাহকের আনুগত্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

ব্যক্তিগতকরণঃ ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসাগুলিকে তাদের গ্রাহকদের আগ্রহ এবং আচরণের উপর ভিত্তি করে তাদের বিপণন বার্তাগুলিকে ব্যক্তিগতকৃত করতে দেয়। এটি উচ্চ রূপান্তর হার হতে পারে।

ব্র্যান্ড সচেতনতাঃ সঠিক ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলগুলির সাথে, ব্যবসাগুলি তাদের ব্র্যান্ড সচেতনতা এবং অনলাইনে দৃশ্যমানতা বাড়াতে পারে। এটি নতুন গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে এবং বিদ্যমান গ্রাহকদের ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকামের উপায়

এসইওঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করে এবং উচ্চ-মানের সামগ্রী তৈরি করে, ব্যবসাগুলি তাদের সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কিং উন্নত করতে পারে এবং আরও অর্গানিক ট্র্যাফিক আকর্ষণ করতে পারে।

মন্তব্য

আমরা জানি, বর্তমান সময়ে এখন মানুষ অনলাইনে দিকে বেশি ঝুকছে। এর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং আধুনিক ব্যবসায়িক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ব্যবসাগুলিকে আরও গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে, অর্থ সঞ্চয় করতে এবং তাদের গ্রাহকদের সাথে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে দেয়।
ফ্রিতেই মোবাইলে ফ্রিলান্সিং শিখুন। ব্লগিং করে আয় করুন ঘরে বসে

ফ্রিতেই মোবাইলে ফ্রিলান্সিং শিখুন। ব্লগিং করে আয় করুন ঘরে বসে

আপনি কি ঘরে বসেই ইনকাম করতে চাচ্ছেন? তাহলে আমরা GOALFIXER এর পক্ষ থেকে শিখাচ্ছি ফ্রিলান্সিং যা মোবাইল দিয়েই আপনি শিখতে পারবেন এবং ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারবেন লক্ষাধিক টাকা।আপনি যদি ব্লগিং করে ঘরে বসে আয় করতে চান তাহলে আমাদের এই ফ্রি বুট ক্যাম্প অথবা ফ্রি করছে জয়েন হতে পারেন। আমাদের এই কোর্সে জয়েন হলে আপনি হাতে কলমে আর্টিকেল রাইটিং সহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

ফ্রিতেই মোবাইলে ফ্রিলান্সিং শিখুন। ব্লগিং করে আয় করুন ঘরে বসে

আমাদের এই ফ্রিল্যান্সিং কোর্স তথা ব্লগিং করে আয় করার আর্টিকেল রাইটিং কোর্সটি আমরা সম্পূর্ণ ফ্রিতেই দিচ্ছি কেননা অনেকেই টাকার অভাবে কোর্স কিনতে সক্ষম হন না। তারই বিবেচনায় আমরা প্রায় পাঁচ হাজার টাকা সমান মূল্যের কোর্স ফ্রিতে দিচ্ছি। 

কোর্স শিখতে কি কি প্রয়োজন

এই কোর্স টি সম্পন্ন করতে হলে আপনার যে সকল উপকরণ প্রয়োজন হবে সেগুলোর মধ্যে বেশ কিছু উপকরণ এবং মন মানসিকতার বিষয়গুলো নিচে তুলে ধরা হলোঃ

  • এই কোর্সটি শিখতে হলে আপনার একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার থাকতে হবে।
  • ভালো ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।
  • মোবাইল দিয়েও কাজটি করতে পারবেন। তবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ হলে ভালো হয়। 
  • ধৈর্য নিয়ে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। 
  • প্রতিটি ক্লাস মনোযোগ সহকারে করতে হবে। 
  • ক্লাস শেষের প্র্যাকটিস করে সেই হোমওয়ার্ক জমা দিতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রি টাকা ইনকাম করার আপস 

আমাদের এই কোর্সে কি কি থাকছে

আমাদের এই কোর্সটি করলে আপনি যে সকল অফিসার বা সুবিধা ভোগ করতে পারবেন তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ
  • ২০ টি লাইভ ক্লাসের সুবিধা
  • ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি
  • ব্লগার থিম কাস্টমাইজেশন
  • কিওয়ার্ড রিসার্চ
  • আর্টিকেল রাইটিং ও পোস্ট ডিজাইন
  • গুগল সার্চ কনসোল
  • গুগল অ্যানালাইটিক্স
  • গুগল পোস্ট ইনডেক্স
  • ওয়েবসাইট মনিটাইজেশন বা গুগল অ্যাডস
  • গুগল অ্যাডস ছাড়াও ওয়েবসাইট থেকে আর্নিং মেথড

আরো পড়ুনঃ HGZY/BDT গেম খেলে আয় করুন লাখ টাকা

আমাদের এই কোর্সে জয়েন হওয়ার জন্য যে সকল প্লাটফর্মে যোগদান করতে হবে বা যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে সকল প্লাটফর্ম ব্যবহার করবেন।

👉সম্পূর্ণ ক্লাস গুলো পাওয়ার জন্য আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে যুক্ত হন 
👉আমাদের WHATSAPP নাম্বারে যোগাযোগ করুন - 01763522143
👉মেসেঞ্জারে আমাকে মেসেজ দিতে ক্লিক করুন

দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায় কি জানুন

দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায় কি জানুন

দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য সঠিক কৌশল ও প্রস্তুতি প্রয়োজন। যদিও চাকরি পাওয়ার জন্য সময় এবং ধৈর্য দুইটাই প্রয়োজন, তবে কিছু কৌশল অনুসরণ করলে প্রক্রিয়াটি দ্রুততর হতে পারে। নিচে কিছু উপায় আলোচনা করা হলো যা সরকারি চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে:

দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায় কি জানুন

১. নিয়মিত চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখুন

পোর্টাল ও ওয়েবসাইট ফলো করুন: নিয়মিত সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখতে হবে। কিছু নির্দিষ্ট পোর্টাল যেমন bpsc.gov.bd, bangladesh.gov.bd, bdjobs.com, বা অন্যান্য সরকারি চাকরির ওয়েবসাইটে নিয়মিত নজর রাখুন।

সোশ্যাল মিডিয়া: ফেসবুকে সরকারি চাকরির গ্রুপ বা পেজ ফলো করুন, যেখানে নিয়োগের খবর শেয়ার করা হয়।

চাকরির প্রস্তুতির মোবাইল অ্যাপস: কিছু অ্যাপস আছে, যেগুলোতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি এবং প্রস্তুতির মডেল প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করে সময়মত আবেদন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন

২. অপ্লিকেশন ও প্রস্তুতির জন্য সময়মত উদ্যোগ নিন

দ্রুত আবেদন: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আবেদন ফর্ম তৈরি করে জমা দিন। অনেক ক্ষেত্রেই সময়মত আবেদন করা গুরুত্বপূর্ণ হয়।

সঠিকভাবে ফর্ম পূরণ: আবেদন ফর্মে কোনো ভুল করবেন না। সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদনপত্র পূরণ করুন এবং সাবধানে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংযুক্ত করুন।

৩. যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির আবেদন করুন

যথাযথ যোগ্যতা যাচাই: এমন চাকরির জন্য আবেদন করুন যার জন্য আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতা রয়েছে। ভুল যোগ্যতার চাকরিতে আবেদন করলে তা সময় নষ্ট করতে পারে।

পছন্দের চাকরি বাছাই: যে খাতে দ্রুত নিয়োগ হয়, যেমন ব্যাংকিং, শিক্ষা, প্রশাসন, পুলিশ, ইত্যাদি খাতে বেশি ফোকাস করুন।

৪. একাধিক পরীক্ষা প্রস্তুতি নিন

প্যারালাল পরীক্ষা: বিভিন্ন খাতের সরকারি চাকরির জন্য একসাথে প্রস্তুতি নিন। এতে দ্রুত কোথাও না কোথাও চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

বিভিন্ন পরীক্ষার সিলেবাস মিলিয়ে প্রস্তুতি নিন: বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার সিলেবাস প্রায় একইরকম হতে পারে (যেমন: বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান)। তাই একসাথে সব ধরনের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়।

আরো পড়ুনঃ সরকারি চাকরির জন্য কি কি কাগজ লাগে

৫. কোচিং বা গাইডলাইন নিন

কোচিং সেন্টার: সরকারি চাকরির জন্য বিশেষায়িত কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে পারেন, যেখানে সঠিক গাইডলাইন এবং মক টেস্টের সুযোগ আছে। এতে প্রস্তুতি আরো সুসংহত হবে।

অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিন: যারা সরকারি চাকরির পরীক্ষা পাস করেছেন, তাঁদের থেকে পরামর্শ নিন। কিভাবে দ্রুত সফলতা পাওয়া যায় তা বোঝার চেষ্টা করুন।

৬. মডেল টেস্ট ও অনুশীলন

মক টেস্ট দিন: নিয়মিত মক টেস্ট দেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে যাচাই করুন। বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে তা সমাধান করার চেষ্টা করুন।

অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করুন: অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে চাকরির মডেল প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করে পড়াশোনা করুন। অনেক ওয়েবসাইট ও অ্যাপ আছে যেগুলো চাকরির প্রস্তুতির জন্য সাহায্য করে।

৭. পড়াশোনার জন্য রুটিন তৈরি করুন

সঠিক পরিকল্পনা: পড়াশোনার জন্য একটি সময়সূচী তৈরি করুন এবং তাতে নিয়মিত প্রস্তুতি নিন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পড়াশোনা করলে অল্প সময়ের মধ্যেই সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হবে।

মোকাবিলা দক্ষতা উন্নত করুন: দ্রুত পড়া এবং তথ্য মনে রাখার দক্ষতা বাড়ান, যাতে সময় কম লাগে এবং প্রস্তুতি কার্যকর হয়।

৮. নেটওয়ার্ক তৈরি করুন

চাকরির বাজার সম্পর্কে জ্ঞান: সরকারি চাকরি সম্পর্কিত নিয়োগের বিষয়ে যাঁরা জানেন, তাঁদের সাথে যোগাযোগ রাখুন।

প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক: লিংকডইন বা ফেসবুকের মাধ্যমে সরকারি চাকরির রিক্রুটার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করে নিজের প্রোফাইল জোরালো করুন।

আরো পড়ুনঃ সরকারি চাকরির জন্য পড়াশোনা কতটুকু

৯. মনোবল শক্ত রাখুন এবং ধৈর্য ধরুন

আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন: চাকরি পেতে দেরি হলেও আত্মবিশ্বাস হারাবেন না। নিয়মিত চেষ্টা করলে এবং নিজের উপর বিশ্বাস রাখলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

প্রচেষ্টা চালিয়ে যান: যদি কোন পরীক্ষায় সফল না হন, তবে হতাশ না হয়ে আবার প্রস্তুতি নিন এবং চেষ্টা চালিয়ে যান। নিয়মিত পরীক্ষায় অংশ নিলে সফলতার সুযোগ বাড়বে।

১০. বিকল্প সুযোগ খুঁজুন

কন্ট্রাকচুয়াল চাকরি: অনেক ক্ষেত্রে কন্ট্রাকচুয়াল বা অস্থায়ী সরকারি চাকরির সুযোগ থাকে। এগুলোতে দ্রুত নিয়োগ পাওয়া যায় এবং পরবর্তীতে স্থায়ী পদে নিয়োগের সুযোগ হতে পারে।

ইন্টার্নশিপ বা প্রশিক্ষণ: কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ বা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দ্রুত চাকরির সুযোগ তৈরি করা সম্ভব।

দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায় হলো সঠিক সময়ে প্রস্তুতি নেওয়া, নিয়মিত চেষ্টা করা এবং প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা।
সরকারি চাকরির জন্য পড়াশোনা কিভাবে করবেন

সরকারি চাকরির জন্য পড়াশোনা কিভাবে করবেন

সরকারি চাকরির জন্য সঠিকভাবে পড়াশোনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু প্রতিযোগিতা খুব বেশি, সঠিক গাইডলাইন এবং কৌশল অনুসরণ করে প্রস্তুতি নিতে হবে। এখানে বিভিন্ন পদে সরকারি চাকরির জন্য পড়াশোনার ধরণ এবং কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১. সাধারণ জ্ঞান (General Knowledge)

  • বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়: বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের সংবিধান, প্রশাসনিক কাঠামো, অর্থনীতি, এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান সম্পর্কে জানুন।
  • বিশ্ব ইতিহাস ও বর্তমান ঘটনাবলী: বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ধারণা রাখুন।
  • সাম্প্রতিক ঘটনা: দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিন পড়ুন। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে জ্ঞান অর্জন খুবই জরুরি।
  • পাঠ্যবই: সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন গাইড ও বই যেমন "MP3 General Knowledge" বা "Professor's Job Solution" ইত্যাদি পড়তে পারেন।

আরো পড়ুনঃ দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায় কি জানুন

২. বাংলা (Bangla)

  • ব্যাকরণ: বাংলা ব্যাকরণে পারদর্শী হতে হবে। যেমন: সন্ধি, সমাস, লিঙ্গ, বচন, কারক, ক্রিয়া, বিপরীত শব্দ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়।
  • সাহিত্য: বাংলা সাহিত্য ও কবি-লেখকদের সম্পর্কে জানুন। বিশেষ করে প্রাচীন ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও তাঁদের রচনাবলী পড়ুন।
  • রচনা ও অনুচ্ছেদ: রচনা, প্রবন্ধ এবং অনুচ্ছেদ লেখার জন্য প্রস্তুতি নিন।

৩. ইংরেজি (English)

  • ব্যাকরণ: ইংরেজি গ্রামার খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করুন। যেমন: Tense, Voice, Narration, Preposition, Article, এবং Common Errors।
  • শব্দভাণ্ডার: প্রতিদিন কিছু নতুন শব্দ শিখুন এবং সেগুলোর Synonyms এবং Antonyms জানুন।
  • রিডিং কম্প্রিহেনশন: ইংরেজি অনুচ্ছেদ পড়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার অনুশীলন করুন। বিভিন্ন মডেল টেস্টের মাধ্যমে নিজেকে যাচাই করতে পারেন।
  • অনুবাদ ও প্যারাফ্রেজিং: বাংলা থেকে ইংরেজিতে এবং ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে দক্ষতা অর্জন করুন।

৪. গণিত (Mathematics)

  • মৌলিক গণিত: প্রাথমিক গণিত যেমন সংখ্যাতত্ত্ব, গড়, অনুপাত, শতকরা, সুদ-কষা ইত্যাদি অধ্যায় ভালোভাবে বুঝে নিন।
  • বীজগণিত ও জ্যামিতি: বীজগণিত, জ্যামিতি এবং পরিমিতির বিষয়গুলোও প্রয়োজনীয়। বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় গণিতের এ অংশ থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।
  • মডেল টেস্ট: বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার মডেল প্রশ্ন সমাধান করে নিজের প্রস্তুতি যাচাই করুন।

আরো পড়ুনঃ শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন

৫. মানসিক দক্ষতা (Mental Ability)

  • যুক্তিবিদ্যা: লজিক্যাল রিজনিং, সিলোগিজম, অ্যানালজি, সিরিজ, কোডিং-ডিকোডিং, ব্লাড রিলেশন, এবং ডায়াগ্রাম সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার অনুশীলন করুন।
  • গাণিতিক দক্ষতা: দ্রুত গণনা এবং সমস্যা সমাধানের কৌশল শিখুন, যাতে কম সময়ে সঠিকভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

৬. সাধারণ বিজ্ঞান (General Science)

  • বিজ্ঞান বিষয়ক জ্ঞান: পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, এবং ভূগোলের মৌলিক ধারণাগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করুন।
  • প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন: সাম্প্রতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত আবিষ্কার এবং নতুন উদ্ভাবন সম্পর্কে আপডেট থাকুন।
  • প্রাকৃতিক বিজ্ঞান: বাংলাদেশের জলবায়ু, ভূতত্ত্ব, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কে ধারণা রাখুন।

৭. তথ্যপ্রযুক্তি (ICT)

  • বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান: কম্পিউটারের মৌলিক ধারণা যেমন: MS Word, MS Excel, PowerPoint, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ইত্যাদি জানুন।
  • প্রযুক্তি ও ডেটা: তথ্য প্রযুক্তি এবং ডেটা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা থাকলে অনেক সরকারি চাকরিতে তা কাজে লাগবে।

৮. প্র্যাকটিস ও মক টেস্ট

  • মক টেস্ট: নিয়মিত মক টেস্ট দিন এবং প্রশ্নপত্রের ধরন সম্পর্কে জানুন। বিভিন্ন চাকরির গাইড বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে প্র্যাকটিস করুন।
  • মডেল টেস্ট: নিয়মিত মডেল টেস্ট দিলে পরীক্ষার চাপ কমে যাবে এবং সময় ব্যবস্থাপনা সহজ হবে।

আরো পড়ুনঃ চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় কি

৯. আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য

  • পরিকল্পনা: একটি দৈনিক রুটিন তৈরি করুন এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন। প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করুন।
  • আত্মবিশ্বাস: পড়াশোনার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন। মনোযোগ দিয়ে প্রতিদিন পড়াশোনা করলে ধীরে ধীরে সফলতা আসবে।

সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য প্রতিদিন নিয়মিত প্রস্তুতি নেওয়া এবং বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি।
শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন

শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন

শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতি শুরু করা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে সঠিক পরিকল্পনা ও ধৈর্যের সাথে এটি সম্ভব। এখানে ধাপে ধাপে নির্দেশিকা দেওয়া হলো, যা অনুসরণ করে আপনি শূন্য থেকে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন:

শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন

১. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

  • চাকরির ধরন বেছে নিন: প্রথমেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি সরকারি নাকি বেসরকারি চাকরি করতে চান। এছাড়া কোন খাতে চাকরি করতে চান (যেমন: ব্যাংক, শিক্ষা, আইটি, প্রশাসন ইত্যাদি) সেটাও নির্ধারণ করুন।
  • পদের যোগ্যতা ও দায়িত্ব বুঝুন: যেসব পদে আবেদন করতে চান, সেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কী কী জানতে হবে তা বোঝার চেষ্টা করুন।

আরো পড়ুনঃ সরকারি চাকরির জন্য কি কি কাগজ লাগে

২. শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতা তৈরি করুন

  • প্রয়োজনীয় ডিগ্রি অর্জন: আপনার পছন্দের চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা বা ডিগ্রি থাকলে তা অর্জন করুন। যদি ডিগ্রি না থাকে, তবে প্রয়োজনীয় কোর্সগুলোতে ভর্তি হন।
  • কম্পিউটার স্কিল: মাইক্রোসফট অফিস (ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট) শিখুন। আজকের চাকরি বাজারে কম্পিউটার দক্ষতা প্রায় সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন।

৩. নিজেকে দক্ষ করে তুলুন

  • যোগাযোগ দক্ষতা: সুন্দরভাবে কথা বলা ও লেখার দক্ষতা অর্জন করুন। ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকলে তা চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় সুবিধা হবে।
  • সময়ের ব্যবস্থাপনা: নিজের সময় ঠিকমতো ভাগ করে কাজে লাগান। দৈনিক পরিকল্পনা তৈরি করুন যাতে চাকরি প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।
  • অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ: নির্দিষ্ট খাতের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিন। যেমন: আইটি সেক্টরের জন্য প্রোগ্রামিং বা ডিজাইনিং শিখতে পারেন।

৪. সঠিকভাবে পড়াশোনা শুরু করুন

  • সাধারণ জ্ঞান ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স: সরকারি চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় যেমন: সাধারণ জ্ঞান, গণিত, ইংরেজি, এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সে ভাল প্রস্তুতি নিন।
  • বই ও অনলাইন রিসোর্স: বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত বই পড়ুন। এছাড়া অনলাইনে কোর্স, ভিডিও টিউটোরিয়াল এবং মক টেস্ট দিতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় কি 

৫. বায়োডাটা/সিভি তৈরি করুন

  • সঠিক সিভি তৈরি: একটি প্রফেশনাল সিভি তৈরি করুন যেখানে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে উল্লেখ থাকবে। চাকরি প্রাপ্তির জন্য একটি আকর্ষণীয় সিভি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৬. চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখুন

  • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন: সরকারি ও বেসরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন ওয়েবসাইট, পত্রিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে অনুসরণ করুন।
  • জব পোর্টাল: বিডিজবস, লিংকডইন, চাকরিরবাজার ইত্যাদি চাকরির পোর্টালে প্রোফাইল তৈরি করুন এবং আপডেট রাখুন।

৭. সাক্ষাৎকার প্রস্তুতি

  • ইন্টারভিউ স্কিল: চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন। নিজের যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে শিখুন।
  • মক ইন্টারভিউ: অনুশীলনের জন্য বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সাথে মক ইন্টারভিউ করতে পারেন। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

আরো পড়ুনঃ দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায় কি জানুন 

৮. পরামর্শ ও গাইডলাইন নিন

  • কোচিং বা গাইডলাইন: যদি প্রয়োজন হয়, কিছু কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে পারেন যেখানে সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য সঠিক গাইডলাইন দেওয়া হয়।
  • মেন্টরশিপ: আপনি যদি চাকরি প্রাপ্তির বিষয়ে কোন মেন্টর বা পরামর্শদাতার কাছ থেকে গাইডলাইন নিতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য আরও সহায়ক হবে।

৯. আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য রাখুন

লক্ষ্যে স্থির থাকুন: মাঝে মাঝে চাকরি পাওয়ার পথ দীর্ঘ হতে পারে। এই সময়ে ধৈর্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
আত্মবিশ্বাস: আত্মবিশ্বাসের সাথে সামনে এগিয়ে চলুন এবং নিজের উন্নতিতে ফোকাস রাখুন।

এই পরিকল্পনাটি ধাপে ধাপে অনুসরণ করলে, শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতি শুরু করা সহজ হবে এবং সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন।
চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় কি

চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় কি

চাকরি পাওয়ার জন্য সঠিক প্রস্তুতি এবং কিছু কৌশল অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু সহজ উপায় উল্লেখ করা হলো, যা চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে:

চাকরি পাওয়ার সহজ উপায় কি

1. সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিন:

  • শিক্ষাগত যোগ্যতা: আপনার পছন্দের চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা নিশ্চিত করুন এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিন।
  • প্রস্তুতি: বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিন। সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি, গণিত এবং বর্তমান বিষয়াবলীর উপর ফোকাস করুন।

2. সঠিক তথ্যের জন্য নজর রাখুন:

  • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: সরকারি এবং বেসরকারি চাকরির বিজ্ঞপ্তি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন। পত্রিকা, ওয়েবসাইট, এবং চাকরির পোর্টালগুলোতে নিয়মিত নজর রাখুন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া: ফেসবুক, লিংকডইন ইত্যাদিতে চাকরির খবর অনুসরণ করুন।

আরো পড়ুনঃ দ্রুত সরকারি চাকরি পাওয়ার উপায় কি জানুন 

3. চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও দক্ষতা তৈরি করুন:

  • বায়োডাটা/সিভি: একটি আকর্ষণীয় এবং পেশাদার সিভি তৈরি করুন, যেখানে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ভালোভাবে প্রকাশ পাবে।
  • কভার লেটার: আবেদনপত্রের সাথে একটি কাস্টমাইজড কভার লেটার সংযুক্ত করুন যা আপনার চাকরির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করবে।

4. দক্ষতা বৃদ্ধি করুন:

  • কম্পিউটার ও টেকনিক্যাল স্কিল: মাইক্রোসফট অফিস, প্রোগ্রামিং বা অন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার শিখুন।
  • যোগাযোগ দক্ষতা: সুন্দরভাবে কথা বলা এবং নিজের চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ করার ক্ষমতা উন্নত করুন।

5. চাকরির জন্য কোচিং বা প্রশিক্ষণ:

  • কিছু কোচিং সেন্টার সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও গাইডলাইন দিয়ে থাকে।
  • সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার মডেল টেস্ট দিন এবং পরীক্ষার ধরন সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন।

আরো পড়ুনঃ শূন্য থেকে চাকরির প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন

6. ইন্টার্নশিপ বা পার্ট-টাইম কাজ:

  • আপনার পছন্দের ফিল্ডে ইন্টার্নশিপ বা পার্ট-টাইম কাজ করুন। এটি চাকরির অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা অর্জনে সহায়ক হবে।

7. পরিচিতি ও নেটওয়ার্ক:

  • আপনার পেশাগত যোগাযোগ বাড়ান। লিংকডইন প্রোফাইল আপডেট রাখুন এবং সঠিক চাকরিদাতা বা রিক্রুটারদের সাথে যোগাযোগ রাখুন।

8. সাক্ষাৎকারের প্রস্তুতি:

  • ইন্টারভিউতে আত্মবিশ্বাসের সাথে উপস্থিত হন। চাকরি সম্পর্কিত প্রশ্নের পাশাপাশি আপনার দক্ষতা, লক্ষ্য এবং যোগ্যতার কথা সুন্দরভাবে বলুন।

এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। নিয়মিত চেষ্টা এবং ধৈর্য ধরে চললে সাফল্য আসবে।