জুমু আর দিনের বিশেষ আমল

জুমু আর দিনের বিশেষ আমল

পোস্ট সূচীপত্র

  • জুম আর দিন সুরা কাহাফ পড়ার ফজিলত
  • জুম আর পর মুস্তাহাব দোয়া
  • দরুদ পড়ার ফজিলত
  • জুমার দিন দোয়া কবুলের সময়

জুম আর দিন সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত

হযরত ইবনে আব্বাস ও আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে ব্যাক্তি জুম আর দিনে অথবা তার রাতে সূরা কাহাফ পাঠ করে তাকে তার পড়ার স্থান থেকে মক্কা শরীফ পর্যন্ত নুর দান করা হয় এবং দ্বিতীয় জুমআর ও আরো তিন দিন মাগফেরাত করা হয় । ৭০ হাজার ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত তার প্রতি রহমত প্রেরণ করে । সে ব্যথা পেটের ফোড়া বাত কুষ্ঠ এবং দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদে থাকে ।

আরো পড়ুন: ওজুর করার সুন্নত তরিকাগুলো জেনে নিন

জুম আর নামাজের পূর্বে অথবা পরে কেহ সুরা কাহাফ পড়লে তার জন্য আরশের নিজ হতে আসমান বরাবর লম্বা এক নূরের যদি প্রকাশ পায় । যা অন্ধকারাচ্ছ কেয়ামতের দিনে তার কাজে আসবে । এবং পূর্ববর্তী সময় হতে এ পর্যন্ত তারা যত গুনহা হয়েছে সব মাফ হয়ে যাবে ।

জুমআর পর মুস্তাহাব দোয়া

হে আল্লাহ অমুখাপেক্ষী হে প্রসংশিত হে প্রথমে সৃষ্টিকারী পূর্ণবার সৃষ্টিকারী হে দয়ালু হে প্রিয় আমাকে আপনার হালাল রিজিক দ্বারা হারাম থেকে রক্ষা করুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আপনি ব্যতীত সবকিছুর প্রতি অমুখাপেক্ষী করুন । বর্ণিত আছে কেউ যথারীতি এই দোয়া পাঠ করলে আল্লাহ তা'আলা সৃষ্ট জীব থেকে বেপরোয়া করে দেন এবং তাকে ধারণাটিত স্থান থেকে রিজিক পৌঁছান ।

দুরুদ পড়ার ফজিলত

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন জুমার দিন ওই সবচেয়ে অধিক ফজিলতের দিন । এদিন কেয়ামতের জন্য সিংগাই ফু দেওয়া হবে তোমরা এদিনে আমার জন্য বেশি পরিমাণে দুরুদ পাঠ করো । তোমরা যখন ঐদিন দরুদ পাঠ করো সাথে সাথে তা আমার সামনে পেশ করা হয় । সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন ইয়া রাসুল আল্লাহ আপনার সামনে কিরূপে পেশ করা হয়? মৃত্যুর পর তো আপনার হাড় পর্যন্ত থাকবে না তখন মহানবী হযরত রাসূলে খোদা( সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ পাক জমিনের জন্য নবীদের শরীর হজম করা হারাম করে রেখেছেন (আবু দাউদ )

আরো পড়ুন: ৯টি অনলাইন বিজনেস আইডিয়া

জুমার দিন দোয়া কবুলের সময়

নবী করীম (সা:) বলেছেন জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে যে ওই সময় আল্লাহপাক প্রত্যেকটি মুমিন বান্দার প্রার্থনা অবশ্যই কবুল করবেন । ইমামগণের মতে সময়টি হল জুমার নামাজের খুতবা আরম্ভ হওয়ার সময় হতে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত আবার আসরের পরে দিনের শেষ ভাগে । হযরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু শুক্রবার দিনের শেষে আসরের পর সব কাজ ছেড়ে আল্লাহর জিকির এবং দোয়ায়ে মশগুল থাকতেন । (বুখারী) হযরত ফাতেমা রাঃ এ সময়ের প্রতি দৃষ্ট রাখতেন এবং খাদেমাকে বলতেন সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকো । 

যখন দেখো সূর্য অস্ত যাওয়ার উপক্রম হয়েছে তখন আমাকে খবর দাও খাদেমা তাই করতো হযরত ফাতেমা এ সময় দোয়া করতে মুশকিল হয়ে পড়তেন । তিনি এটা তার পিতার কাছে থেকে অবলম্বন করেছিলেন ।

আরো পড়ুন:  ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি জানুন




SHARE THIS

Copy Url

Author:

HELPER NETWORK is a blog provide blogger templates for free Read More

0 coment rios: